হাথরসে নির্যাতিতার বাড়িতে বাম প্রতিনিধিরা। মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র
চলতি বছরেই মধ্যপ্রদেশে ২৭টি এবং উত্তরপ্রদেশে ৭টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন। পাশাপাশি সামনেই বিহারে বিধানসভা নির্বাচন, যেখানে ৩৮টি আসন তফসিলি জাতি ও জনজাতির জন্য সংরক্ষিত। এমন গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনের আগে হাথরস-কাণ্ড বিরোধী দলগুলির হাতে নতুন অস্ত্র তুলে দিল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক শিবির। বিষয়টি নিয়ে আতঙ্কে বিজেপি শিবিরও।
শুধু হাথরস নয়, উত্তরপ্রদেশে দলিতদের উপরে একের পর এক ধর্ষণ, গণধর্ষণ, খুন, নির্যাতনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার ফলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দলিতদের মধ্যে বিজেপির বিরুদ্ধে বিপুল ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে। সেই ক্ষোভের আগুনকে কাজে লাগাতে স্বাভাবিক ভাবেই সক্রিয় বিরোধী নেতারা। উত্তরপ্রদেশ থেকে বিহার — ছবিটা একই। সব মিলিয়ে দলিত ভোটের বিষয়টি সাম্প্রতিক নির্বাচনী মানচিত্রে বড় জায়গা করে নিয়েছে।
কংগ্রেস এবং এসপি পৃথক ভাবে উত্তরপ্রদেশের সাতটি উপনির্বাচনে ঝাঁপাচ্ছে দলিত তাস হাতে নিয়ে। সূত্রের বক্তব্য, যদিও এই সাতটি আসনের মধ্যে দু’টি সংরক্ষিত, কিন্তু বাকি পাঁচটিতেও দলিত ভোট নির্ণায়ক হয়ে উঠতে পারে। এসপি-র এক নেতার কথায়, ‘‘এই উপনির্বাচনগুলিতে সরকারের ব্যর্থতা এবং মুখ্যমন্ত্রীর দলিতদের উপর অত্যাচারের প্রতিফলন দেখতে পাওয়া যাবে।’’
আরও পড়ুন: হাথরসের ঘটনা ভয়ঙ্কর: আদালত
মধ্যপ্রদেশে যে আসনগুলিতে উপনির্বাচন হবে, তার মধ্যে ১৭টি সংরক্ষিত। মূলত গ্বালিয়র এবং চম্বল অঞ্চলের এই আসনগুলিতে কংগ্রেস এবং বিএসপি তৎপর হচ্ছে হাথরস-কাণ্ডকে সামনে নিয়ে আসার জন্য। বিহার ভোটে সমাজবাদী পার্টি সমর্থন করছে আরজেডি-কে। হাথরস-কাণ্ডকে বড় করে ভোট প্রচারে তুলে ধরার কৌশল নেওয়া হয়েছে। আরজেডি মুখপাত্র মৃত্যুঞ্জয় তিওয়ারির কথায়, ‘‘হাথরস এখন জাতীয় বিষয়। সর্বত্র দলিতরা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছেন, কী ভাবে বিজেপি তাদের উপর অত্যাচার করছে।’’
আরও পড়ুন: ধার করার দায় ঠেললেও সংঘাত এড়াচ্ছে কেন্দ্র
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বিহারে বিজেপি-র পাল্টা কৌশলেও কিন্তু এসে যাচ্ছে সেই দলিত প্রসঙ্গই। আরজেডি-র প্রাক্তন সচিব, দলিত আন্দোলনকারী শক্তি মালিকের হত্যা নিয়ে বিহার এখন সরগরম। বিজেপি আঙুল তুলেছে আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবের দিকে। বিহারের বিজেপি নেতা দেবেশ কুমারের কথায়, “টাকার বিনিময়ে টিকিট দেওয়া নিয়ে প্রতিবাদ করায় প্রাণ দিতে হল শক্তি মালিককে। আরজেডি হাথরস-কাণ্ড নিয়ে রাজনীতি করছে। কিন্তু নিজেরা দলিতদের টুঁটি টিপে মারছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy