প্রতীকী ছবি।
যথেষ্ট পরীক্ষা-কিট নেই। তাই নমুনা পরীক্ষা কম হচ্ছে। সংক্রমিত রোগী চিহ্নিত হচ্ছে কম। কংগ্রেস শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের অভিযোগ, নরেন্দ্র মোদী সরকার করোনা সংক্রমণ পরীক্ষা কিট যথেষ্ট সরবরাহ করতে পারছে না বলেই পরীক্ষা কম হচ্ছে। পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার নিয়েছে।
রাজস্থান, পঞ্জাব, ছত্তীসগঢ়ের কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রীরা শনিবার এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সামনে মুখর হয়েছিলেন। তাঁদের অভিযোগ, কেন্দ্রের হাতে যথেষ্ট পরীক্ষা কিট নেই। তাই রাজ্যগুলিকে মেপে মেপে কিট পাঠানো হচ্ছে। বাধ্য হয়ে এখন রাজ্যগুলি নিজেরাই চিন থেকে কিট আনার চেষ্টা করছে।
কিট যথেষ্ট নেই বলেই রাজ্যগুলিকে প্রয়োজন মাফিক মেপে বিলি করা হচ্ছে, তা মানছেন আইসিএমআর-এর এপিডেমিয়োলজি এবং কমিউনিকেবল ডিজ়িজ় শাখার প্রধান রমন গঙ্গাখেদকর। তাঁর যুক্তি, কাদের পরীক্ষা করা হবে, তার নীতি বেঁধে দেওয়া হয়েছে। সেই নীতি মেনে পরীক্ষা করার মতো ছয় সপ্তাহের টেস্ট-কিট মজুত রয়েছে। রমন বলেন, “রবিবার পর্যন্ত প্রায় ২ লক্ষ ৬ হাজার পরীক্ষা হয়েছে। শুধু রবিবারেই সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ১৬ হাজারের বেশি পরীক্ষা হয়েছে।”
আরও পড়ুন: হাসপাতালে করোনা, আবাসনে ঢুকতে বাধা স্বাস্থ্যকর্মীদের
আরও পড়ুন: করোনা: মেডিক্যালে আক্রান্ত মা, সতর্কতা
বিরোধীদের অভিযোগ, ১৩৫ কোটি মানুষের দেশে মাত্র ২ লক্ষ পরীক্ষা খুবই কম। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহ বলেন, “আমাদের রাজ্যে ২৮০০-র কিছু বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। রাজ্যের ২.৮ কোটি জনসংখ্যার তুলনায় সেটা খুবই কম।” রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত বলেন, “আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি, কেন্দ্র যথেষ্ট পরীক্ষা-কিট মজুত করে তা বিলি করুক। প্রতিটি রাজ্য আলাদা আলাদা কিনতে গেলে আরও অসুবিধা হবে।”
কিন্তু কেন্দ্রের ভরসায় বসে না থেকে ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল নিজেই চিন থেকে পরীক্ষা-কিট আনতে উদ্যোগী হয়েছেন। তাঁর যুক্তি, “কেন্দ্র তো নির্দিষ্ট সংখ্যার বেশি কিট দিচ্ছে না। কিন্তু আমরা আরও পরীক্ষা করাতে চাই।” মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ বলেন, “রাজ্যে প্রতি ১০ লক্ষে মাত্র ৫৫ জনের পরীক্ষা হয়েছে। খুবই চিন্তাজনক। আমরা কবে চিনে কিটের বরাত দিয়েছি? এখন শোনা যাচ্ছে, তামিলনাড়ুতে যে কিট আসছিল, তা আমেরিকায় চলে গিয়েছে।”
আইসিএমআর-কর্তা আজ বলেন, “চিন থেকে প্রথম কিস্তির টেস্ট কিট ১৫ এপ্রিলই ভারতে পৌঁছতে পারে।” কমল নাথ বলেন, “রোজই শুনি তিন দিন পরে, পাঁচ দিন পরে আসছে। কেউ বলে, হরিয়ানাতেই তৈরি হবে। প্রহসন চলছে। সব জনতাকে মূর্খ বানানোর কৌশল।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy