পাবজি-সহ ১১৮টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করল ভারত সরকার।
গালওয়ান উপত্যকায় সেনা সংঘর্ষের জেরে কার্যত ভারত-চিন সাইবার যুদ্ধ শুরু হয়েছে। প্রথম ধাপে টিকটক-সহ ৫৯টি অ্যাপ নিষিদ্ধ করার পরেই কেন্দ্র জানিয়েছিল, আতসকাচের নীচে রয়েছে মোট ২৫০টি চিনা অ্যাপ। পূর্ব লাদাখে ফের চিন অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাতেই এ বার আরও ১১৮টি অ্যাপ নিষিদ্ধ করল মোদী সরকার। এই ধাপে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অ্যাপ ‘পাবজি’। ভারতে এই অ্যাপগুলি আর ডাউনলোড করা যাবে না। কাজ করবে না ডাউনলোড করা অ্যাপও। এই নিয়ে সব মিলিয়ে ২২৪টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ হল ভারতে।
কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে, তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৯এ ধারায় এই অ্যাপগুলি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, এই সব অ্যাপ এমন কাজকর্মে লিপ্ত, যা ভারতের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা, প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা এবং জনস্বার্থের পরিপন্থী। কোটি কোটি ভারতীয় মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর নিরাপত্তার স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক।
গত ১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সেনা সংঘর্ষে ভারতের এক কমান্ডার পর্যায়ের অফিসার ও ১৯ জন জওয়ানের মৃত্যু হয়েছিল। তার পর থেকেই নয়াদিল্লি-বেজিং সঙ্ঘাত চরমে উঠেছে। তার জেরে গত ২৯ জুন টিকটক, ইউসি ব্রাউজার, শেয়ারইট, উইচ্যাট, ভিগো লাইভ-সহ মোট ৫৯টি অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছিল কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক। তার কিছুদিন পরে ওই সব অ্যাপের সহযোগী আরও ৪৯টি বাতিল করা হয়েছিল। একই সঙ্গে কেন্দ্র জানিয়েছিল, সব মিলিয়ে ২৫০টি চিনা অ্যাপে নজরদারি চালাচ্ছে কেন্দ্র। সেই তালিকা থেকেই ১১৮টি অ্যাপ নিষিদ্ধ করা হল বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
আরও পড়ুন: কোন বয়সে সংক্রমণ বেশি, কোন বয়সে মৃত্যু, জানাল স্বাস্থ্যমন্ত্রক
আরও পড়ুন: লাদাখ সঙ্ঘাতের জের, অরুণাচলে বাড়ানো হচ্ছে নিরাপত্তা
তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক জানিয়েছে, সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে পাবজির মতো কিছু অ্যাপ নিয়ে অভিযোগ জমা পড়ছিল। গ্রাহকদের তথ্য হাতিয়ে নেওয়া, সেই তথ্যের অপব্যবহার-সহ নানা অভিযোগ উঠছিল। মন্ত্রক মনে করছে, এটা অত্যন্ত গুরুতর উদ্বেগের বিষয়। সেই কারণে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সাইবার ক্রাইম শাখা থেকেও এই অ্যাপগুলি ব্লক করার সুপারিশ করা হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy