বাস্তবের মৎসকন্যা মস গ্রিন। ছবি: সংগৃহীত
নিজের মনের মতো চাকরি আর ক’জনই বা পান! স্বপ্নের চাকরি পাওয়ার সৌভাগ্য সকলের হয় না। ইটালির এক কন্যা ইংরেজি শিক্ষিকার চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন মৎসকন্যা হওয়ার জন্য। ঠিকই পড়ছেন। মহিলার মতে তিনি এখন যে কাজ করছেন, সেটাই ছিল তাঁর স্বপ্ন। টরকুয়ের বাসিন্দা ৩৩ বছর বয়সি মস ২০১৬ সালে সিসিলি যান ইংরেজি শিক্ষিকা হতে।
বিজ্ঞান কোনও দিনই স্বীকার করেনি মৎস্যকন্যার অস্তিত্ব। কিন্তু ইংল্যান্ডের বাসিন্দা মস গ্রিনের ইচ্ছে ছিল মৎস্যকন্যা হওয়ার। তাই বিশেষ পোশাক পরে ‘বাস্তবের মৎস্যকন্যা’ হয়ে উঠলেন তিনি।
তবে মস মৎসকন্যা হওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন সমুদ্র সৈকতে মৎসকন্যর পোশাকে এক পুরুষকে দেখে। মস এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘সে দিন থেকেই আমি স্থির করে নিয়েছিলাম যে, মৎসকন্যা হবই। এই চাকরিই হবে আমার স্বপ্নের চাকরি। এই কাজটি একেবারেই অন্য পেশার থেকে আলাদা আর আমি এই কাজ একাই করতে পারি। মাছের মতো লেজ পরে সমুদ্র আর প্রকৃতির এত কাছাকাছি থাকার সুযোগ আমি আর কোনও পেশায় পাব না।’’
ইনস্টাগ্রামে এক দিন মসের কাছে মৎসকন্যা হওয়ার চারকির সুযোগ আসে। সে কাজে যোগ দেওয়ার আগে মসকে এক জন পেশাদার মৎস্যকন্যা হিসাবে প্রশিক্ষণও নিতে হয়। কী ভাবে জলের তলায় শ্বাস বন্ধ করে থাকতে হয়, কী ভাবে মৎসকন্যা সেজে জলের মধ্যে নানা রকম ভেলকি দেখাতে হয়— এই সব প্রশিক্ষণ নেন মস।
শিক্ষিকা হিসাবে যে অর্থ মস রোজগার করতেন, এখন অবশ্য তার থেকে কমই আয় করেন। কিন্তু তাতে কোনও আক্ষেপ নেই মসের। পছন্দের চাকরি পেয়ে খুশিই আছেন মস। মস বলেন, ‘‘এই কাজের স্বাধীনতা আমাকে সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করে। এই কাজ আমার কাছে শিল্প। এই কাজ করে আমি আমার ভিতরে শিল্পীসত্ত্বাকে জাগ্রত করতে পেরেছি। অর্থই আমার কাছে সব নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy