ছবির খাতিরে এই প্রথম বোম্মান ও বেলি একসঙ্গে কোনও হস্তিশাবকের যত্নআত্তির দায়িত্বে ছিলেন। ছবি: সংগৃহীত।
অস্কারজয়ী স্বল্প দৈর্ঘের তথ্যচিত্র ‘দ্য এলিফ্যান্ট হুইস্পারার্স’- নিয়ে চারদিকে যখন এত হইচই, তখন তামিলনাড়ুর ধরমপুরিতে অনাথ হস্তিশাবকের যত্নআত্তিতে ব্যস্ত গল্পের নায়ক কে বোম্মান। হস্তিশাবকের মা সম্প্রতি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায়। তাই তার সব দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন কে বোম্মান ও তাঁর স্ত্রী বেলি। নীলগিরির মুদুমালাই টাইগার রিজ়ার্ভের থেপ্পাকাডু ক্যাম্পের পশুচিকিৎসা কেন্দ্রে হাতিদের দেখাশোনা করেই দিন কাটে দম্পতির।
তাঁদের জীবন দিয়ে তৈরি হওয়া ছবির কিছু ঝলক দেখেছেন মাত্র, তবে এখনও গোটা ছবি দেখা বাকি। ‘দ্য এলিফ্যান্ট হুইস্পারার্স’-এর অস্কার জয়ের পর রাতারাতি তাঁরা উঠে এসেছেন খবরের শিরোনামে। তবে কি বদলে গেল তাঁদের জীবন? ২৮ বছর ধরে মাহুত হিসাবে বোম্মান বলেন, ‘‘ছবিটি অস্কার পেয়েছে খুব ভাল কথা, কিন্তু তাতে আমার জীবনে খুব বেশি হেরফের হয়নি। আমার জীবন বন্য হাতিদের ঘিরেই, আর তা নিয়েই আমি খুশি আছি।’’ বেলি বলেন, ‘‘ছবি নির্মাতাদের প্রচেষ্টা স্বীকৃতি পেয়েছে জেনে আমি খুব খুশি হয়েছি।’’
ছবির খাতিরে এই প্রথম বোম্মান ও বেলি একসঙ্গে কোনও হস্তিশাবকের যত্নআত্তির দায়িত্বে ছিলেন। বোম্মান বলেন, ‘‘রঘু আর বমিকে আমরা একেবারে নিজেদের সন্তানের মতোই লালন-পালন করেছি। রাতের পর রাত জেগে থেকেছি রঘুর জন্য। এক বছর আগে রঘু আর বমিকে যখন অন্য মাহুতের দায়িত্বে পাঠানো হল, তখন আমাদের খুব কষ্ট হচ্ছিল। এখন আমার দায়িত্বে অন্য একটি হস্তিশাবক এসেছে, এখন সে-ই আমার সন্তান।’’
মুদুমালাই টাইগার রিজ়ার্ভের থেপ্পাকাডু ক্যাম্প এখন পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। রঘু ও বমির এক ঝলক দেখার জন্য থেপ্পাকাডু ক্যাম্পে ভিড় জমাচ্ছেন দেশ-বিদেশের পর্যটকরা। বোম্মান ও বেলির জীবনে খুব বেশি বদল না এলেও মুদুমালাই টাইগার রিজ়ার্ভের জনপ্রিয়তা কিন্তু বাড়িয়ে তুলেছে ‘দ্য এলিফ্যান্ট হুইস্পারার্স’-এর অস্কার জয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy