খুদের স্ক্রিন টাইম কমাতে ভরসা যখন আধুনিক ‘খেলার মাঠ’। ছবি: সংগৃহীত।
আড়াই বছরের খুদেকে খাওয়াতে মায়ের কেটে যায় ঘণ্টা তিনেক সময়। কিছুই মুখে তুলতে চায় না সে। একমাত্র উপায়, মোবাইল ফোনে কার্টুনের ভিডিয়ো চালিয়ে তার হাতে তুলে দেওয়া। তা হলেই তাড়াতাড়ি খেয়ে নেয় ছেলে। অনেক মা-বাবা আবার শিশুর সামনে মোবাইল চালিয়ে নিজেদের টুকিটাকি কাজ সেরে ফেলেন। আর এ ভাবেই মোবাইল কিংবা টিভির নেশায় বুঁদ হয়ে পড়ে ছোটরা। এই অভ্যাসের কারণে কেবল চোখের সমস্যা বাড়ছে এমনটা নয়, খুদেদের মস্তিষ্কেও এর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। শিশুরা যাতে ঘরবন্দি হয়ে মোবাইলের উপর অতিরিক্ত নির্ভব না হয়ে পড়ে, তার জন্য শহরের বুকে এজেসি বসু রোডে ‘ইন্ডোর প্লে অ্যান্ড এন্টারটেনমেন্ট সেন্টার’ খুলেছে ‘সামারসল্ট’ সংস্থা।
২-১২ বছর বয়সিদের মোবাইল থেকে দূরে রাখতে কাজে আসবে এই সেন্টারটি, এমনই মত ‘সামারসল্ট’-এর কর্ণধার নিখিল জৈনের। নিখিল বলেন, ‘‘ছোটরা পড়াশোনার একঘেয়েমি কাটাতে মোবাইলের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে। মোবাইলের এই আসক্তি কাটাতেই তাদের জন্য এমন একটি রঙিন জগৎ তৈরি করার ভাবনা আমাদের মাথায় আসে। এখন আশপাশের মাঠগুলিতে আর তেমন খেলার পরিবেশ নেই। অনেক এলাকায় তো শিশুদের খেলার জন্য ভাল খেলার মাঠ খোঁজাও দায়— সে ক্ষেত্রে এই ইন্ডোর প্লেগ্রাউন্ডে এসে খুদেরা সময় কাটাতে পারে। এই সেন্টারে দক্ষ প্রশিক্ষকেরাও রয়েছেন, যাঁদের আমরা ‘ফান অফিসার’ বলি, তাদের নজরদারিতে খুদেরা নিশ্চিন্তে খেলা করতে পারবে। এই সেন্টারটি এমন ভাবেই নকশা করা হয়েছে, যেখানো দৌড়ঝাঁপ করতে গিয়ে শিশু পড়ে গেলেও তার চোট লাগবে না।’’
শহরের বিভিন্ন মলে গেলেই চোখে পড়ে, ছোটদের জন্য গেমিং জ়োন। সেই সব গেমিং জ়োন থেকে ‘ইন্ডোর প্লে অ্যান্ড এন্টারটেনমেন্ট সেন্টার’টি কতটা আলাদা? নিখিল বলেন, ‘‘গেমিং জ়োনগুলিতে বড় বড় স্ক্রিন থাকে, সেখানে গিয়েও খুদেরা সারা ক্ষণ স্ক্রিনের দিকেই তাকিয়ে থাকে। তবে আমাদের সেন্টারে সেই ধরনের কোনও স্ক্রিন নেই। এই সেন্টারে যে ধরনের গেমস রয়েছে সেগুলি শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করবে। তাদের ভাবনা বিকশিত করবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy