হাজারো কারণ থেকেই আসতে পারে স্ট্রেস। ছবি: শাটারস্টক।
টিন এজ হোক বা প্রাপ্তবয়স্ক, স্ট্রেস এখন কমবেশি সকলের জীবনকেই গ্রাস করছে। পড়াশোনা, কাজ, পরিবার, কাছের মানুষের সঙ্গে সম্পর্কের রসায়ন, সমাজের প্রত্যাশা এমন হাজারো কারণ থেকে আসে স্ট্রেস। কেউ কউ সহজেই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে পারেন। কিন্তু অনেকেই আছেন যাঁদের পক্ষে স্ট্রেস সামলানো বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
এক এক জন মানুষ এক এক ধরনের হয়ে থাকে। তাঁরা পরিস্থিতির মোকাবিলাও করে থাকেন বিভিন্ন ভাবে। সে ক্ষেত্রে এমন কতগুলো পথ বেছে নিতে হবে, যা মেনে চললে নিশ্চিত ভাবে জীবন অনেক সহনীয় ও সুন্দর হয়ে উঠবে।
প্রতি দিন বেঁচে থাকার অনুশীলনে যোগ করে নিন এমন কিছু অভ্যাস, যা সহজেই আপনাকে স্ট্রেসমুক্ত হতে সাহায্য করবে। রইল তেমন কিছু কৌশলের সুলুকসন্ধান।
আরও পড়ুন: দিনের মধ্যে ১৫ মিনিট দিন এই খেলাকে, মেদ ঝরবে, বাড়বে একাগ্রতাও
নিজেকে গুরুত্ব দিন: বাইরের কাজ, অফিস বা কলেজ আর বাড়ি, এতেই দিন শেষ। নিজের জন্য নেই সামান্য ফুরসতটুকুও। কিন্তু স্ট্রেস থেকে দূরে থাকতে হলে নিজেকে অবহেলা করলে চলবে না। যদি নিজে ঠিক না থাকেন তবে জীবনের সব ক্ষেত্রেই সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। অফিস থেকে ফেরার পথে বা রাতে ঘুমানোর আগে নিজেকে খানিকটা সময় দিন। একলা সময় কাটান। নিজের পছন্দের চা বা কফি খেতে খেতে প্রিয় বইটি পরুন বা গান শুনুন। এ সব কিছু পছন্দের না হলে নিজের ভাল লাগার শখকে ঝালিয়ে নিন। যদি ডায়েরি লেখার অভ্যাস থাকলে লিখুন। মাসে এক-আধ বার পার্লারে গিয়ে মাসাজ করান, বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে সময় কাটান। পছন্দের খাবার খেলেও অনেক সময় স্ট্রেস কমতে পারে।
আজকাল টিনএজেও ঘিরে ধরতে পারে স্ট্রেস।
প্রকৃতির মাঝে সময় কাটান: রোজ সকালে রয়েছে হাঁটার অভ্যাস? তবে রাস্তায় না হেঁটে পার্কে যান। শুধু মাত্র শরীরের পক্ষেই নয় প্রাকৃতিক দৃশ্য আপনার মনকেও সতেজ রাখবে। গাছ, ফুল, পাখির ডাক, প্রকৃতির হাওয়া সত্যিই মন ভাল করে দেবে। রোজ সম্ভব না হলেও সপ্তাহে অন্তত তিন থেকে চার দিন রুটিন করে গেলেও ভাল লাগবে।
আরও পড়ুন: ফল বা সব্জি টাটকা রাখার এই সব অদ্ভুত উপায়ের কথা আগে কখনও শুনেছেন!
মন ভাল রাখবে এমন কাজ: অনেকেই আছে যাঁরা ব্যায়াম করলে বিশেষ আনন্দ পান। কারও কারও ক্ষেত্রে আবার ভাল সিনেমা বা নাটক দেখলে সেই অনুভূতিটা আসে। যাই হোক না কেন, নিজের পছন্দগুলি খুঁজে বার করুন। এতেও মন ভাল থাকে এবং স্ট্রেস দূর হয়।
মেডিটেশন: স্ট্রেস কমানোর ক্ষেত্রে মেডিটেশনের কোনও বিকল্প হয় না। তাই রোজ রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে নিরালায় বসে ধ্যান করুন। এই সময় হালকা কোনও মিউজিকও শুনতে পারেন। মনকে শান্ত রাখলে স্ট্রেস অনেকটাই দূর হবে।
দুঃসময় আসে, কেটেও যায়: এই ধ্রুব সত্য মাথায় রাখতে পারলে আর কোনও সমস্যা হওয়ার কথাই নয়। নানা সময় সমস্যা আসে, আবার তা সময়ের সঙ্গেই কেটে যায়। বেশি চিন্তা করলেই যে তা খুব স্বাভাবিক হয়ে যাবে এমনও নয়। তাই অহেতুক চিন্তা না করে বরং সমস্যা থেকে বেরনোর উপায় খোঁজায় মন দিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy