২২ বছর বয়সি ক্রিস্টিন পেশায় নেট-প্রভাবী। ছবি: সংগৃহীত
এক জন থাকেন অস্ট্রেলিয়ায়, অন্য জন নিউজিল্যান্ডে। সমাজমাধ্যমে পরিচয়। ভেবেছিলেন, দেশ আলাদা হলেও এক হবে মন। কিন্তু সেই সাধ পূরণ হল না সিডনির বাসিন্দা ক্রিস্টিন আবাদিরের। সম্পর্কের ছ’মাস পর জানতে পারলেন, যাঁকে প্রেমিক বলে ভাবছিলেন তিনি আদৌ পুরুষই নন! এক মহিলা।
২২ বছর বয়সি ক্রিস্টিন পেশায় নেট-প্রভাবী। টিকটকে প্রায় কুড়ি লক্ষ অনুরাগী তাঁর। সেই অনুরাগীদের এক জনই যোগাযোগ করেন তাঁর সঙ্গে। পরিচয় দেন ‘জে’ নামে। নেটমাধ্যমেই চলত কথোপকথন। জে-কে ভাল লেগে যায় ক্রিস্টিনের। প্রেমের প্রস্তাব দেওয়ার পর না করেননি প্রেমিক প্রবরও। জে জানান, তিনি নিউজিল্যান্ডের বাসিন্দা। তাই মেসেজের মাধ্যমেই যোগাযোগ রাখতে স্বচ্ছন্দ। কিন্তু ভিডিয়ো কলের কথা বলতেই বার বার এড়িয়ে যেতেন তিনি, অভিযোগ ক্রিস্টিনের।
ক্রিস্টিন জানিয়েছেন, তাঁর সন্দেহ আরও গাঢ় হয়, একটি তথ্যচিত্র দেখার পর। সেখানে দেখানো হয়, কী ভাবে অনলাইনে প্রতারণা করেন একদল প্রতারক। ক্রিস্টিন সিদ্ধান্ত নেন অনেক হয়েছে, এ বার প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতেই হবে তাঁকে। সেই মতো নিউজিল্যান্ডে গিয়ে হাজির হন ক্রিস্টিন। একটি নৈশক্লাবে জে-কে আমন্ত্রণ জানান তিনি। কিন্তু ক্রিস্টিনের আয়োজন করা সেই ‘ডেট’-এ হাজির হননি জে। আর নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি ক্রিস্টিন। প্রশাসন ও বন্ধুদের সাহায্যে অন্য ফোন নম্বর ব্যবহার করে খুঁজে বার করেন ‘প্রেমিক’-কে। দেখা যায়, যিনি যাঁর সঙ্গে কথা বলছিলেন, তিনি আদৌ পুরুষই নন, এক মহিলা।
তবে এমন অন্ধকারের মধ্যেও আলোর উৎস খুঁজে পেয়েছেন ক্রিস্টিন। প্রভাবী জানিয়েছেন, নিউজিল্যান্ডে গিয়ে এক ব্যক্তির সঙ্গে সামনাসামনি আলাপ হয়েছে তাঁর। কঠিন সময়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। তাঁর সঙ্গেই নতুন সম্পর্কে যেতে চান ক্রিস্টিন। পাশাপাশি, নিজের অভিজ্ঞতার কথা নেটমাধ্যমে খোলাখুলি ভাবে প্রচার করে সচেতনতা বাড়াতে চান বলেও জানিয়েছেন তরুণী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy