বিয়ের প্রায় ১৮ বছর পর তাঁকে বিবাহবিচ্ছেদের অনুমতি দিল পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্ট। ছবি-প্রতীকী
দিনের পর দিন শারীরিক প্রতিবন্ধকতা নিয়ে খোঁটা দিতেন স্ত্রী। ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিতেন মাটিতেও। স্ত্রীর বিরুদ্ধে এমনই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগে বিবাহবিচ্ছেদ চেয়ে কোর্টের দ্বারস্থ হন এক পোলিয়ো আক্রান্ত ব্যক্তি। অবশেষে বিয়ের প্রায় ১৮ বছর পর তাঁকে বিবাহবিচ্ছেদের অনুমতি দিল পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্ট।
অভিযোগকারী ব্যক্তি কোর্টে জানিয়েছেন, তিনি ছোট থেকেই পোলিয়ো আক্রান্ত। সব জেনেশুনেই তাঁকে বিয়ে করতে রাজি হন মহিলা। বিয়ের পর স্ত্রীর বাড়িতে থাকার প্রস্তাবও দেওয়া হয়। কিন্তু বিয়ের সময়ে ওই ব্যক্তি জানতে পারেন, স্ত্রীর আগে এক বার বিয়ে হয়ে গিয়েছে। তাঁর অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই স্ত্রী তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা শুরু করেন। বিবাহের কয়েক মাস পর এক পুত্রসন্তান হয় মহিলার। আরও বাড়ে অপমান। কিছু দিন পর জনসমক্ষে নির্যাতন করা শুরু হয়। এমনকি, সবার সামনে স্ত্রী তাঁর ক্রাচ কেড়ে নিতেন ও ধাক্কা মেরে ফেলে দিতেন বলেও অভিযোগ ওই পোলিয়ো আক্রান্ত ব্যক্তির। সহ্য না করতে পেরে হোসিয়ারপুরের একটি আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন তিনি। কিন্তু তখন কোর্টে তাঁর বিরুদ্ধে পণ নেওয়ার অভিযোগ আনেন স্ত্রী। খারিজ হয়ে যায় বিচ্ছেদের আবেদন। তার পরই পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি।
হাই কোর্টে মামলার শুনানিতে বিচারক ঋতু বাহরি ও নিধি গুপ্ত জানিয়েছেন, বিশেষ ভাবে সক্ষম কোনও মানুষকে তাঁর প্রতিবন্ধকতা নিয়ে কটূক্তি করা কিংবা তাঁকে ঠেলে ফেলে দেওয়া অমানবিকতার চূড়ান্ত নিদর্শন। তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে ওই ব্যক্তিকে বিবাহবিচ্ছেদের অনুমতি দেন বিচারকরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy