ক্ষমা বিন্দু। ছবি: সংগৃহীত
বছর খানেক আগে নিজগামিতা বা ‘সোলোগ্যামি’র পথে হেঁটে সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন গুজরাতের ক্ষমা বিন্দু। গত বছর জুন মাসে নিজেকেই বিয়ে করেছিলেন এই তরুণী। কারণ আর কিছুই নয়, তিনি পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি ভালবাসেন নিজেকে। আর সে কারণেই এই সিদ্ধান্ত। ঠিক এক বছর পর আবার নয়া কীর্তি করলেন ক্ষমা। বিয়ে করেছেন আর বিবাহবার্ষিকী উদ্যাপন হবে না, তা কখনও হয়! সঙ্গী না হয় না-ই থাকুক, উদ্যাপনে খামতি রাখতে চাননি ক্ষমা।
নিজের মতো করে বিবাহবার্ষিকী পালন করে সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিয়ো দিলেন বছর ২৫-এর ক্ষমা। ভিডিয়োর ক্যাপশনে বিয়ের বর্ষপূর্তির জন্য নিজেকেই অভিনন্দন জানিয়েছেন ক্ষমা। ভিডিয়োতে এই এক বছর কী ভাবে কাটিয়েছেন, সেই মুহূর্তগুলি তুলে ধরেছেন তিনি। বিয়ের দিনের ছবি, তার পর একাই গোয়ায় মধুচন্দ্রিমায় যাওয়া, বিভিন্ন জায়গায় ছুটি কাটাতে যাওয়া, বন্ধুদের সঙ্গে জন্মদিন উদ্যাপন, বক্ষমাঝে ‘একলা চলো রে’ ট্যাটু করানো— ক্যামেরাবন্দি বিভিন্ন মুহূর্ত ভিডিয়োতে তুলে ধরেছেন ক্ষমা। ভিডিয়ো দেখে বোঝাই যাচ্ছে, বেশ খোশমেজাজেই দিন কাটাচ্ছেন তিনি।
ক্ষমা উভকামী। পুরুষ এবং নারী, উভয়ের প্রতিই তাঁর সমান আকর্ষণ। তবে অন্যের চেয়ে নিজেকেই বেশি ভালবেসে ফেলেন ক্ষমা। যৌন এবং মানসিক আকর্ষণ অনুভব করেন নিজের প্রতিই। তবে বিয়ে করার যাত্রাপথ মোটেই সহজ ছিল না। ক্ষমার নিজেকে বিয়ে করতে চাওয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই সংবাদমাধ্যমে তাঁকে নিয়ে নানা মন্তব্য আসতে থাকে। বিজেপি নেত্রী সুনীতা শুক্ল দাবি করেন, ক্ষমা যা করতে চলেছেন, হিন্দু ধর্ম তার অনুমতি দেয় না। এই ধরনের বিয়ে হিন্দু ধর্মের বিরোধী এবং এ বিয়ে হলে হিন্দুদের জনসংখ্যা কমে যাবে বলেও উল্লেখ করেন নেত্রী। এর পর হঠাৎই বিয়ে এগিয়ে আনেন ক্ষমা। কারণ, অতি কষ্টে জোগাড় করা পুরোহিতও জানিয়ে দেন যে, তিনি বিয়ে দিতে আসবেন না। শেষে বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের লোকজনের উপস্থিতিতে বাড়িতেই নিজের মাথায় সিঁদুর দেন ক্ষমা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy