মিল্ক শেক বানানো কঠিন কাজ নয়। তবে কী ভাবে বানাচ্ছেন তার উপরেই সবটা নির্ভর করবে। যদি বেশি করে চিনি, মিল্কমেড দিয়ে মিল্কশেক বানান, তা হলে তেমন উপকারে আসবে না। বরং এমন মিল্কশেক খেলে ক্যালোরি বাড়বেই। কিন্তু যদি মিল্কশেক খেতে পছন্দ করেন এবং ওজনও কমাতে হয়, তা হলে সেটি বানাতে হবে স্বাস্থ্যকর উপায়ে।
এই পানীয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ঘনত্ব। কতটা ঘন হল পানীয়, তার উপরেই নির্ভর করে স্বাদ। ঠিক মাত্রা পেতে, শেক বানানোর সময়ে বাকি সব জিনিসের আগে ব্লেন্ডারে দুধ দেওয়া জরুরি। কিন্তু স্বাস্থ্যকর মিল্কশেক খেতে আইসক্রিম দিলে চলবে না। বরং এর বিকল্প কিছু দিতে হবে। কী ভাবে তা বানাবেন জেনে নিন।
বানানা বাটার মিল্কশেক
এই মিল্কশেক বানাতে লাগবে কলা, চিনাবাদাম, কাঠবাদামের দুধ বা সয় মিল্ক, চিয়া বীজ ও দারচিনি।

বানানা বাটার মিল্কশেক। ছবি: ফ্রিপিক
আরও পড়ুন:
প্রণালী- ব্লেন্ডারে সমস্ত উপকরণ মিশিয়ে ভাল করে পিষে নিন। এর সঙ্গে সামান্য দারচিনি মিশিয়ে দিলে স্বাদ বাড়বে। উপর থেকে পুদিনাও ছড়াতে পারেন। গরমের সময়ে এই মিল্কশেক বানিয়ে বাড়ির ছোটদেরও খাওয়াতে পারেন।
অ্যাপল মিল্কশেক
এই মিল্কশেকও খুবই স্বাস্থ্যকর। ডায়াবিটিস বা উচ্চ কোলেস্টেরল থাকলে দুধ বা চিনি খাওয়া যায় না। সে ক্ষেত্রে এমন মিল্কশেক বানিয়ে খেতেই পারেন। এর জন্য লাগবে পালং শাক, একটি গোটা আপেল, দই বা গ্রিক ইয়োগার্ট এবং ডাবের জল।

অ্যাপল মিল্কশেক। ছবি: ফ্রিপিক।
প্রণালী- সমস্ত উপকরণ মিশিয়ে ব্লেন্ডারে জুস করে নিন। এই মিল্কশেকে গরুর দুধের প্রয়োজন নেই। যাঁদের দুধে অ্যালার্জি তাঁরা দিব্যি খেতে পারেন এটি। প্রয়োজনে কাঠবাদামের দুধ মেশাতে পারেন।