বিয়ের পর খোস মেজাজের ছবিতে অনুরাগীদের মন জয় করে নিলেন সিড-কিয়ারা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
অবশেষে সাত পাকে বাঁধা পড়লেন অভিনেতা সিদ্ধার্থ মলহোত্র ও অভিনেত্রী কিয়ারা আডবাণী। কোন পোশাক শিল্পীর লেহঙ্গায়ে কিয়ারা সাজবেন সেই নিয়ে ছিল নানা জল্পনা। দীপিকা, আলিয়া, প্রিয়ঙ্কার মতো পোশাকশিল্পী সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়ের নয় পোশাকশিল্পী মণীশ মলহোত্রের নকশা করা লেহঙ্গাই দেখা গেল কিয়ারার পরনে।
হালকা গোলাপি রঙের পোশাকে সেজে উঠেছিলেন কিয়ারা। নিজের জন্য প্যাস্টেল শেডের লেহঙ্গাই পছন্দ করেছিলেন তিনি। সোনালি রুপোলি চুমকির কারুকাজ আর সামান্য সবজে আভাই ছিল বৈশিষ্ট্য। মাথার ওড়নার বর্ডারে ছিল রানি রঙের সরু পাড়ের উপর সোনালি কারুকাজ। ডিপ নেকের ব্লাউজ জুড়ে ছিল ভরা সিক্যুইনের কাজ। সবুজ পান্না আর হিরের নেকলেস ছিল কিয়ায়ার গলায়। নেকলেসটি ছিল একেবারে রাজকীয়। কানের দুল ও মাথার টিকলিতেও ছিল হিরের কারুকাজ। হাতে গোলাপি চুড়ি ও হিরের বালা। আলিয়া ভট্টের মতো কিয়ারার কলিরেতেও ছিল তারার চমক। কিয়ারার আঙ্গুলে বড় মাপের হিরের আংটি চোখ টানল ছবিতে। হাত ভর্তি মেহন্দি নয়, কিয়ারার হাতে ছিল অতি সামান্য মেহন্দি।
বরের পরনেও ছিল মণীশের পোশাক। সোনালি শেরওয়ানিতে সেজে উঠেছিলেন অভিনেতা। মাথায় সোনালি পাগড়ি ও হিরের ব্রুচ। গলায় পরেছিলেন বড় হার। হাতে কুন্দনের আংটি।
মণীশের সাজে কিয়ারা ও সিডের বিয়ের পোশাক ছিল আর পাঁচ জন অভিনেতা অভিনেত্রীর থেকে একেবারে আলাদা। বিয়ের পর খোস মেজাজের ছবিতে অনুরাগীদের মন জয় করে নিলেন সিড-কিয়ারা।
৭ তারিখ সকাল থেকেই অল্প অল্প করে ছবিটা স্পষ্ট হচ্ছিল। দুপুরে যখন রাজস্থানের কাঠফাটা রোদ, রাস্তা জুড়ে সার দিয়ে বিলাসবহুল গাড়ি দাঁড়িয়ে ছিল। অতিথিদের জন্য এলাহি ব্যবস্থার আঁচ পাওয়া যাচ্ছিল বাইরে থেকেই। তার পরই দেখা যায় সাদা ঘোড়া। সূর্যগড় প্রাসাদের মধ্যে নিয়ে যাওয়া হয় সেটিকে। সেই ঘোড়ায় চড়েই কিয়ারকে বিয়ে করতে যান সিদ্ধার্থ। তৈরি ছিল বরযাত্রী, ব্যান্ড পার্টিও। তার পর সাত পাকে ঘোরেন সিড-কিয়ারা।
কিন্তু বিয়ের ছবির আর দেখা নেই। আজকাল বলিউডে নতুন চল, বিয়ের পর দম্পতি একসঙ্গে একই ছবি একই ক্যাপশন দিয়ে সমাজমাধ্যমে প্রকাশ করেন। তাই রীতি মেনেই অপেক্ষায় ছিলেন অনুরাগীরা। কিন্তু ছবি আসে কই। নিমন্ত্রিতদের মধ্যে একজন বেরিয়ে এসে বলে দিলেন, বিয়ে শেষ। দু’জনের উইকি পেজেও প্রমাণ মিলল, কিন্তু বর-কনের সাজ দেখা গেল না। অবশেষে কিয়ারার ইনস্টাগ্রামে পাওয়া গেল ছবি। একের পর এক শুভেচ্ছাবার্তায় ভরে গেল সঙ্গে সঙ্গে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy