মাথা খাটিয়ে যদি স্নানঘরটির যত্ন নেন, তা হলে রোজ রোজ পরিষ্কার করার দরকার পড়ে না। ছবি: সংগৃহীত।
সকালে অফিস বেরোনোর আগে এবং রাতে গলদঘর্ম হয়ে ফেরার পর বেশ অনেকটা সময় স্নানঘরেই কাটে। যেখানে গিয়ে সমস্ত ক্লান্তি ধুয়েমুছে সাফ করে ফেলেন, সেই জায়গাটিও তো সাজিয়েগুছিয়ে রাখা জরুরি। স্নানঘর যদি অপরিষ্কার থাকে, তা হলে যে শুধু দেখতে খারাপ লাগে তা নয়, শরীর খারাপেরও ঝুঁকি থেকে যায়। প্রতি দিন শৌচালয় পরিষ্কার করার সময় থাকে না অনেকেরই। একটু মাথা খাটিয়ে যদি স্নানঘরটির যত্ন নেন, তা হলে রোজ রোজ পরিষ্কার করার দরকার পড়ে না।
১) সবচেয়ে বেশি নোংরা হয় শৌচালয়ের মেঝে। হলুদ দাগছোপ পড়ে যায়। এমন দাগছোপযুক্ত শৌচালয় ব্যবহার করতে অস্বস্তি হওয়া স্বাভাবিক। তা ছাড়া অতিথির সামনেও অস্বস্তিতে পড়তে হয়। শৌচালয়ের মেঝের হলুদ দাগছোপ দূর করতে পারেন ব্লিচিং ব্যবহার করতে পারেন। তবে শৌচালয়ের মেঝে যদি টাইলসের হয় তাহলে বাজারে আলাদা করে টাইলস ক্লিনার পাওয়া যায়। তবে শৌচালয়ের মেঝে বেশি ক্ষণ যেন ভেজা না থাকে। রাবার ক্লিনার ব্যবহার করে অতিরিক্ত জল টেনে নিতে পারবেন।
২) শৌচালয়ের বেসিনও বেশ নোংরা হয়। দীর্ঘ দিন ধরে কোনও রকম যত্ন করা ছাড়াই ব্যবহার করলে হলুদ দাগছোপ পড়ে যায়। তা ছাড়া জল পড়েও এই ধরনের দাগ হয়। তাই সপ্তাহে অন্তত তিন দিন বেসিন পরিষ্কার করুন। তা হলে এই দাগ সহজে পড়বে না। এ ছাড়া গুঁড়ো সাবানের সঙ্গে ‘টয়লেট ক্লিনার’ মিশিয়ে নিয়ে কিছু ক্ষণ দাগের উপরে ছড়িয়ে রেখে দিন। তার পর ভাল করে ঘষে নিন। এতে দাগ সহজে উঠে আসবে।
৩) কমোড পরিষ্কার রাখা হল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। নয়তো এখান থেকেই নানারকম জীবাণু সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। কমো়ড পরিষ্কার রাখার জন্য বিশেষ ধরনের ক্লিনার পাওয়া যায়। এ ছাড়াও অনেক জীবাণুনাশক ট্যাবলেটও পাওয়া যায়। ফ্ল্যাশ বাক্সে ফেলে রাখলে ফ্ল্যাশের সঙ্গেই কীটনাশকযুক্ত জল এসে কমোড পরিষ্কার রাখে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy