প্রতীকী ছবি।
আগে সাধারণত অনেক বাড়িতেই পান সেজে খাওয়ার চল ছিল। এই অভ্যাস হালে আর নেই। পানের বাটার দিন ফুরিয়েছে। এখনও যদিও নিমন্ত্রণ বাড়িতে পেটপুজোর উপসংহারটা হয় পান দিয়েই। কিন্তু কেবল মুখশুদ্ধি হিসেবে পরিচিতি পেলেও, পান দূরে রাখতে পারে অনেক শারীরিক সমস্যাকেই।
হজম শক্তি বাড়ায় ও মাথা যন্ত্রণা কমায়
নিয়মিত পান খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে। বদহজম ও মাথাযন্ত্রণার মতো সমস্যা অচিরেই কমে পান খেলে। মাথা যন্ত্রণার সময়ে যদি দুটো পান পাতা কপালে লাগিয়ে রাখা যায়, তা হলেও মাথা ধরা কমে যায়। সেই সঙ্গে যাঁদের বদহজমের সমস্যা, তাঁরা নিয়মিত পান খেতে পারেন। কারণ পান হজমশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে।
গলা ব্যথার সমস্যা কমায়
পানে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটিরিয়াল ও প্রদাহনাশক উপাদান, যার ফলে ঠান্ডা লাগলে গলা ব্যথা কমানোর ক্ষেত্রে অব্যর্থ ভূমিকা নেয় এটি। পান পাতার সঙ্গে হালকা মধু মিশিয়ে খেলে গলার সংক্রমণ কম হয়।
ব্রণর সমস্যা কমায়
ত্বকের যে কোনও সমস্যার জন্য পান পাতা উপকারি। এতে রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান, যা ত্বককে সব ধরনের অ্যালার্জি থেকেও বাঁচায়। ত্বক ভাল রাখতে তাই ত্বকে পান পাতা লাগাতে পারেন। কয়েকটি পান পাতা বেটে নিয়ে তার সঙ্গে সামান্য হলুদ মিশিয়ে মুখে লাগান। মিনিট কুড়ি পরে জল দিয়ে ধুয়ে নিন। ব্রণর সমস্যা কমবে।
ক্ষত সারাতে সাহায্য করে
পান পাতায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকায় তা ক্ষত সারাতেও সহায়তা করে। তাই কোনও কারণে কেটে গেলে, ক্ষত স্থানে সামান্য পান পাতার রস দিন। তার পরে সেই কাটা জায়গায় কয়েকটি পান পাতা রেখে তার উপরে দিয়ে ব্যান্ডেজ করে নিন। দিন দুয়েকের মধ্যেই ক্ষত সেরে যাবে।
অবসাদ কমায়
অবসাদের সমস্যার ওষুধও কিন্তু রয়েছে পানের মধ্যেই। খাওয়া-দাওয়ার পরে রোজ রাতে নিয়ম করে যদি পান পাতা খান, তা হলে কিন্তু মানসিক চাপ ও অবসাদের সমস্যা কমে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy