রাস্তার ধার থেকে কেতাদুরস্ত রেস্তরাঁ অথবা বাড়ির হেঁশেল, আদা চায়ের জনপ্রিয়তা সমাজের সব স্তরে, সব এলাকায়। তার উপর যখন মরসুম বদলের পালা, তখন গলায় আরাম দিতে, ঠান্ডা লাগা সারাতে আদা মেশানো চায়ের জুড়ি মেলা ভার। তবে অনেকেই আদা চা তৈরির সময়ে ধন্দে থাকেন, ঠিক কী ভাবে বানানো উচিত? আদা টুকরো করে বা অল্প থেঁতো করে, না কি গ্রেটারে মিহি করে ছেঁচে? কোন আকারে চায়ে আদা মেশালে মনমতো স্বাদ ও ঘ্রাণ পাওয়া যায়?
কেউ কেউ বলেন, সবই এক। থেঁতো করে দিন বা কেটে, মিহি করে দিন বা গুঁড়ো করে বা ছেঁচে, দিলেই হল। কিন্তু তা আদপে সত্যি নয়। চায়ে আদার এক এক রূপ এক এক ভাবে কাজ করে। পদ্ধতিই নির্ধারণ করে দেয়, চায়ের ঘ্রাণ ও স্বাদ কেমন হবে।
আদা চায়ের কোন রেসিপি বেশি পছন্দ? ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।
গ্রেট করা আদা: যখন আদা ঘষে বা মিহি কুচি করে দেওয়া হয়, সেটির রস পুরোপুরি বেরিয়ে আসে চায়ে। এতে চায়ের রং হয় গাঢ়, ঘ্রাণ হয় আরও ঝাঁঝালো। আদার ঝাঁজ স্পষ্ট ভাবে টের পাওয়া যায়। তাই যাঁরা কড়া চা পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য এই পদ্ধতিটিই সেরা। আদা ছেঁচে দিলে বা একেবারে মিহি হয়ে গেলে চায়ে চমৎকার সুগন্ধ ও স্বাদ আসে।
আরও পড়ুন:
থেঁতো করা আদা: টুকরো করে থেঁতো করা আদা চায়ের জলে ধীরে ধীরে ফুটতে থাকে, ফলে স্বাদ তুলনামূলক ভাবে কম কড়া হয়। এই চা শরীরের জন্য ভাল হলেও, এতে ঝাঁজ বা গন্ধ কম থাকে। একবারে কড়া স্বাদ না এসে ধীরে ধীরে চায়ের জলে বা দুধে আদার ঝাঁঝ প্রবেশ করতে থাকে।
অতএব, যদি চায়ে কড়া ঝাঁঝ চান, তা হলে আদা ঘষে বা মিহি করে কুচি করে বা গ্রেটারে ছেঁচে দিন। আর যদি হালকা, আরামদায়ক এক কাপ চা পান করতে মন চায়, তা হলে টুকরো করে ভেঙে দিতে পারেন বা হাতে থেঁতো করে দিতে পারেন— দু’ভাবেই চায়ের আনন্দ পাবেন। টাটকা আদা ব্যবহার করলে চা শুধু সুগন্ধীই হয় না, হজমের সমস্যাও কমায় এবং গলা ব্যথা দূর করতেও সাহায্য করে।