২৬ বছর বয়সি অন্তঃসত্ত্বা এক মহিলা আদালতের কাছে গর্ভপাতের অনুমতি চেয়েছিলেন। প্রতীকী ছবি।
দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি প্রতিভা এম সিংহ এক মহিলাকে গর্ভাবস্থার ৩৩ সপ্তাহে গর্ভপাতের অনুমতি দিয়েছেন। আদেশ দেওয়ার সময় বিচারপতি বলেন, “সমস্ত বিষয়টি বিবেচনার পর আদালত এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে, এ ক্ষেত্রে মায়ের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। এর উপর গুরুত্ব দিয়েই আলাদত গর্ভপাতের অনুমতি দিচ্ছে। আবেদনকারী এলএনজেপি হাসপাতাল বা তাঁর পছন্দের যে কোনও হাসপাতালে অবিলম্বে গর্ভপাত করাতে পারেন।’’
২৬ বছর বয়সি অন্তঃসত্ত্বা এক মহিলা আদালতের কাছে গর্ভপাতের অনুমতি চেয়েছিলেন। পরীক্ষার পর জানা গিয়েছিল যে তাঁর ভ্রূণের মস্তিষ্কের কার্যকলাপ স্বাভাবিক নয়, আর সেই কারণেই গর্ভপাতের অনুমতি চেয়েছিলেন সেই মহিলা। সেই মামলার রায় দিতে বিচারপতি বলেন, ‘‘নব প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে ইদানীং ভ্রুণের মস্তিষ্কের কার্যকলাপও জানা সম্ভব হচ্ছে। এই বিষয়টি কিন্তু যথেষ্ট উদ্বেগের। আমরা কি এমন সমাজের পরিকল্পনা করছি, যেখানে কেবল সুস্থ শিশুরাই থাকবে?’’
আবেদনকারী মহিলা, তাঁর স্বামী ও চিকিৎসকদের সমস্ত বক্তব্য শুনেই আদালত এই রায় দিয়েছে।
সেপ্টেম্বর মাসে দেশের শীর্ষ আদালত বলেছে, দেশের সব নারীই নিরাপদে গর্ভপাত করাতে পারবেন। গর্ভপাতের ক্ষেত্রে বিবাহিত এবং অবিবাহিত মহিলাদের মধ্যে ফারাক করা ‘অসাংবিধানিক’ বলেও উল্লেখ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। ভারতে এখন ২০ থেকে ২৪ সপ্তাহের মধ্যে অবিবাহিত মহিলারাও গর্ভপাত করাতে পারেন। এর পরে গর্ভপাত করাতে চাইলে তা আদালতের অনুমতি সাপেক্ষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy