দেশ-বিদেশ গিয়ে কেউ যত রকম রান্নাই খান না কেন, সকলেরই মুখে লেগে থাকে মা, ঠাকুরমা, দিদা, মাসি বা প্রিয়জনের রাঁধা কোনও বিশেষ পদ। সেই তালিকায় রয়েছে করিনা কপূরও।
নায়িকা যে ভোজনরসিক, তা তাঁর সমাজমাধ্যমের প্রোফাইলে চোখ রাখলেই বোঝা যায়। পঞ্জাবি পরিবারে বেড়ে ওঠা করিনা বরাবরই ঘি, মাখন খাওয়ার কথা নিজে মুখে বলে এসেছেন। তা যে নিখাদ সত্যি, তা সইফ-ঘরনির ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলেও প্রতিফলিত হয়েছে। দেখা গিয়েছে রুটি, শাকের সঙ্গে পাতে অনেকখানি মাখনও রয়েছে। মিষ্টি খেতেও ভালবাসেন তিনি।
আরও পড়ুন:
তবে বড় হয়ে যা-ই ভালবাসুন না কেন, কপূর পরিবারের আদরের বেবো কিন্তু ছোটবেলায় ভালবাসতেন ঠাকুরমার হাতের স্যুপ। পাঁঠার মাংসের পায়া স্যুপের কথা সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন করিনা।
এই স্যুপ শুধু করিনা নয়, পুরো কপূর পরিবারেরই খুব প্রিয়। করিনার ভাই-বোন রণবীর, রিদ্ধিমা এবং করিশ্মাও ছোটবেলায় সেই স্যুপ খেতেন। ছোটদের স্বাস্থ্যকর স্যুপ খাওয়ানোর পারিবারিক রেওয়াজ বজায় আছে এখনও। তৈমুরকেও তা খাওয়ান করিনা। অভিনেত্রী জানান, তাঁর ঠাকুরমা বেঁচে থাকাকালীন বলে গিয়েছিলেন, ছেলেমেয়েদের যেন এই খাবার খাওয়ানো হয়। সেই রীতি মেনে চলেন বেবো।
পায়া স্যুপের গুণাগুণ
পাঁঠার মাংসে যথেষ্ট প্রোটিন থাকে। এ ছাড়াও থাকে ফ্যাট, ক্যালশিয়াম, আয়রন, পটাশিয়ামের মতো খনিজ। পাঁঠার হাড়ের বা পায়ের মাংস দিয়ে তৈরি এই স্যুপের গুণ অনেক। হাড় মজবুত রাখতে, প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে এটি।

পায়া স্যুপ শুধু সুস্বাদু নয়, স্বাস্থ্যকরও। ছবি: সংগৃহীত।
কী ভাবে রাঁধবেন?
কপূর পরিবারের জনপ্রিয় এই রান্নার বিশেষত্ব এবং স্বাদ বুঝতে গেলে বাড়িতেই তা রেঁধে ফেলতে পারেন। করিনা নিজে রন্ধনপ্রণালী না জানালেও, নানা ভাবেই বানানো যায় এই সহজ রান্নাটি।
প্রেশার কুকারে ঘি বা মাখন দিয়ে গোটা গরমমশলা ফোড়ন দিন। তাতে রাখুন গোলমরিচ, তেজপাতা, লবঙ্গ, দারচিনি। এ বার যোগ করুন কিছুটা আদা এবং রসুন কুচি। হালকা নাড়িয়ে চাড়িয়ে দিয়ে দিন পাঁঠার মাংস। মূলত পায়ের হাড়ওয়ালা মাংসই এই রান্নায় লাগবে। স্বাদমতো নুন, ঝাল, কাঁচালঙ্কা দিয়ে নাড়িয়ে চাড়িয়ে অনেকটা জল দিয়ে মাংস সেদ্ধ হতে দিন। ভাল ভাবে মাংস সেদ্ধ হয়ে গেলেই তৈরি হয়ে যাবে পায়া স্যুপ।