চোখের নীচের ফোলা ভাব দূর হবে যোগাসনেই। ছবি: সংগৃহীত।
ঘুম কম হলে চোখের নীচে ফুলে যায়। এ সমস্যা অনেকেরই আছে। আবার রাতভর জেগে থাকলেও এমন হতে পারে। কারও ক্ষেত্রে বিষয়টি আবার জিনগত। চোখের নীচে সামান্য ফোলাই থাকে। সকালে ঘুম থেকে উঠলে সেই ফোলা ভাব স্পষ্ট হয়ে ওঠে। অতিরিক্ত মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা হলেও চোখের নীচে ফুলে যেতে পারে। ফোলা চোখের নেপথ্যে নানা কারণ আছে। চোখের নীচের ফোলা ভাব কমানোর যে দাওয়াইগুলি আছে, তার মধ্যে অন্যতম হল শরীরচর্চা। কোন যোগাসনগুলি চোখের ফোলা ভাব কমাতে সাহায্য করে?
পশ্চিমোত্তাসন
এই আসনটি করতে সবার প্রথমে চিত হয়ে শুয়ে দু’হাত মাথার দু’পাশে উপরের দিকে রাখুন। পা দু’টি একসঙ্গে জোড়া রাখুন। এ বার আস্তে আস্তে উঠে বসে সামনে ঝুঁকে দু’হাত দিয়ে দুই পায়ের বুড়ো আঙুল স্পর্শ করুন। কপাল দু’পায়ে ঠেকান। হাঁটু ভাঁজ না করে পেট ও বুক ঊরুতে ঠেকান। কিছু ক্ষণ এই ভঙ্গিতে থাকার পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসুন।
বালাসন
হাঁটু মুড়ে গোড়ালির উপর বসুন। এ বার শরীরটা এমন ভাবে বেঁকান, যাতে বুক উরুতে গিয়ে ঠেকে। মাথা গদির উপরে রেখে হাত দু’টি সামনের দিকে প্রসারিত করুন। এই আসন স্নায়ুতন্ত্রের জন্য খুব উপকারী। চোখের ফোলা ভাব দূর করতেও বালাসন বেশ উপকারী। সেই সঙ্গে ঘাড় ও পিঠের ব্যথা কমাতেও এই আসনের জুড়ি মেলা ভার।
মৎসাসন
এই আসন শরীর ও মন দুই-ই সতেজ রাখে। নিয়মিত করলে চোখের ফোলা ভাবও কমবে। প্রথমে ম্যাটের উপর টানটান হয়ে শুয়ে পড়ুন। দুই হাত পাশে থাকবে। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকবে। এ বার ধীরে ধীরে পিঠ বেঁকিয়ে ধনুকের মতো করতে হবে। হাতের কনুই, মাথা আর নিতম্বে ভর দিয়ে পিঠ তুলুন। মাথা যেন মাটিতে থাকে। মাথায় ভর দিতে হবে। এ বার হাত পাশে রাখুন। কাঁধ, পিঠ তুলে রাখতে হবে। ১০-২০ সেকেন্ড সেই ভঙ্গিতে থেকে আবার আগের অবস্থানে ফিরে আসুন। যদি কাঁধ, পিঠ, তোলা অবস্থায় দুই পা টানটান রাখেন, তা হলে দুই হাত পাশে থাকবে। আর যদি সেই ভঙ্গিতেই দুই পা পদ্মাসনে রাখেন, তা হলে দুই পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুল টেনে ধরুন। আসন থেকে ফেরার সময় অবশ্যই দুই হাত আবার দুই পাশে রেখে শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy