সামনেই কি আপনার বিয়ে? তত্ত্বের ট্রে-তে কী কী শাড়ি রাখবেন ভেবে পাচ্ছেন না? ছবি: সংগৃহীত।
বিয়ের প্রস্তুতি পর্ব শুরু হলে প্রথমেই যে কথাগুলি মাথায় আসে, তার মধ্যে একটি হল তত্ত্ব। গায়ে হলুদের সময়ে বরের বাড়ি থেকে কনের বাড়িতে আবার বৌভাতের দিন কনের বাড়ি থেকে বরের বাড়িতে তত্ত্ব পাঠানোর পুরোনো রেওয়াজ এখনও রয়েছে বাঙালির ঘরে ঘরে।
বিয়ের পর এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়িতে যেতে হয় কনেদের। তাই তত্ত্বের একটি বড় অংশ হল পোশাক! তত্ত্বের ডালিতে সাজানো থাকে রংবেরঙের শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ। সামনেই কি আপনার বিয়ে? তত্ত্বের ট্রে-তে কী কী শাড়ি রাখবেন ভেবে পাচ্ছেন না?
বিয়েতে তাঁত, হ্যান্ডলুম, জামদানি শাড়ি উপহারে অনেক পাবেন। তত্ত্বে বিভিন্ন প্রদেশের শাড়ি রাখতে পারলে কেমন হয়? মেয়েদের কাছে শাড়ি আদতে সম্পদের সমান। সম্ভারে হরেক রাজ্যের শাড়ি রাখতে পারলে মন্দ হয় না! এ ক্ষেত্রে কোন কোন শাড়ি রাখতে পারেন আপনার পছন্দের তালিকায়?
১) কাঞ্জিভরম: ইদানীং অনেকেই বৌভাতের অনুষ্ঠানে কাঞ্জিভরম পরেন। তা না হলেও বিয়ের শাড়ির সম্ভারে একটি কাঞ্জিভরম রাখাই যায়। মালবারি সিল্কের সোনালি সুতোয় বোনা তামিলনাড়ু রাজ্যের এই শাড়ির ঐতিহ্যই আলাদা। কাঞ্জিভরমের সঙ্গে সোনার গয়না পরলেই সাজে চলে আসে রাজকীয়তা। সাড়ে চার হাজার থেকে শুরু করে বিভিন্ন দামের কাঞ্জিভরম শাড়ি বাজারে মিলবে।
২) বাঁধনী: পশ্চিম ভারতের কনেদের মধ্যে এই ধরনের শাড়ি পরার চল বেশি। তবে বাঙালিরাও আজকাল এই শাড়ির প্রেমে পড়েছেন। গুজরাত ও রাজস্থানের ঐতিহ্য এই শাড়ি। বাঁধনী শাড়ির বিশেষত্ব হল রঙের খেলা। লাল, হলুদ, সবুজের মতো উজ্জ্বল সব রঙের সাহায্যে ‘টাই অ্যান্ড ডাই’ পদ্ধতিতে নকশা করা হয় শাড়িজুড়ে। হাজার টাকা থেকে শুরু করে হরেক দামে এই শাড়ি মিলবে বাজারে। মূলত বড়বাজার, রামমন্দির চত্বরে এই শাড়ির সম্ভার পাবেন। সিল্ক, শিফন, সুতি— সব রকম কাপড়ের উপর তৈরি হয় এই শাড়ি।
৩) চিকনকারি শাড়ি: ছিমছাম সাজ পছন্দ হলে নিজস্ব সম্ভারে একটি লখনউের চিকনকারি শাড়ি রাখতেই পারেন। ইদানীং প্যাস্টেল রঙের চিকনকারি ফ্যাশনে ভীষণ ‘ইন’। দু-আড়াই হাজার থেকে শুরু করে নানা দামে এই শাড়ি মেলে বাজারে। তার পর যত গুড় ঢালবেন তত মিষ্টি হবে।
৪) চান্দেরি: মধ্যপ্রদেশের চান্দেরি শাড়ির কদর দেশজুড়ে। বাজারে নানা দামের চান্দেরি শাড়ি মিলবে। সিল্ক ও কটন দুই ধরনের চান্দেরিই পাবেন বাজারে। খুব বেশি দাম না হলেও এই শাড়ি পরলে বেশ জমকালো লাগবে।
৫) মুগা সিল্ক: খুব বেশি ভারী শাড়ি পরতে পছন্দ না করলে অসমের মুগা সিল্ক রাখতেই পারেন আপনার পছন্দের তালিকায়। এই শাড়ি যত পুরনো হবে, ততই বাড়বে এর ঔজ্জ্বল্য।
৬) পৈঠানি: মহারাষ্ট্রের এই শাড়িও বেশ জনপ্রিয়। সিল্কের এই শাড়ি খুব চড়া রঙের হয়। উজ্জ্বল রং ও চওড়া জরির পাড়ই এই শাড়ির বৈশিষ্ট। তত্ত্বের ট্রে-তে এই শাড়ি রাখতেই পারেন।
৭) বালুচরি: তত্ত্বের ট্রে-তে বাংলার বালুচরি বা স্বর্ণচরি না রাখলেই নয়। সাবেকি সাজ পছন্দ হলে ফিগার মোটিফের সিল্কের এই শাড়ি কিন্তু বেশ মানাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy