এক সময়ে শিশুকে নিয়মিত তেল মালিশ করিয়ে রোদে শুইয়ে রাখা হত। মা-ঠাকুরমাদের এই টোটকায় শিশুর ত্বক কোমল থাকত। ত্বকের পরিচর্যার জন্য মায়েরা ব্যবহার করতেন বেসন আর মুসুর ডাল বাটা। এই প্রাকৃতিক স্ক্রাবারেই ত্বক মসৃণ থাকত। বাজারচলতি ক্রিম বা তেলের খুব একটা প্রচলন ছিল না। কিন্তু এখন হাজার রকম বেবি ক্রিম, বেবি অয়েলের ছড়াছড়ি। প্রাকৃতিক উপাদানের বদলে বাজারচলতি নামী কোম্পানির ক্রিমই মাখানো হচ্ছে শিশুকে। রোদে নিয়ে গেলে বেশ করে সানস্ক্রিনও মালিশ করা হচ্ছে। কিন্তু এগুলি শিশুর ত্বকের জন্য একেবারেই ঠিক নয়। বহু ব্র্যান্ডের ক্রিম, পাউডারের মধ্যেই রাসায়নিক, ভারী ধাতু পাওয়া গিয়েছে। তাই ঘরোয়া উপায়েই ত্বকের যত্ন নেওয়া ভাল।
নিম আর দইয়ের প্যাক
নিমে আছে ভিটামিন ই, ফ্যাটি অ্যাসিড। এর অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল গুণ ত্বকের যে কোনও সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারে। দই খুব ভাল প্রোবায়োটিক। এক চামচ নিমপাতা বাটার সঙ্গে ২ চা চামচ দই মিশিয়ে মাখালে শিশুর ত্বক ভাল থাকবে। ফুস্কুড়ি বা র্যাশের সমস্যা হবে না।
আরও পড়ুন:
নিমের সঙ্গে অ্যালো ভেরা
এক চামচের মতো নিমপাতা বাটার সঙ্গে এক চামচ অ্যালো ভেরা জেল মিশিয়ে শিশুর ত্বকে মাখিয়ে ১৫ মিনিটের মতো রেখে ঈষদোষ্ণ জলে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাক সপ্তাহে তিন দিন লাগালেও ত্বক নরম ও মসৃণ থাকবে।
ওট্মিল মাস্ক
এক চা চামচ ওট্স, এক চামচ মধুর সঙ্গে এক চামচ দুধ মিশিয়ে মিহি মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। এই প্যাক শিশুর ত্বকের জন্য খুব ভাল স্ক্রাবারের কাজ করবে। সপ্তাহে দু’দিন মাখাতেই পারেন। যে কোনও রকম ত্বকের জন্যই এই প্যাক ভাল।
নারকেল তেলের প্যাক
শিশুর ত্বকে র্যাশ বা ফুস্কুড়ি হলে নারকেল তেল মাখালে উপকার হবে। দুই চামচ নারকেল তেলের সঙ্গে এক চামচ হলুদ মিশিয়ে মাখাতে হবে। নারকেল তেলে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বককে কোমল করবে, ত্বকের প্রদাহও দূর করবে।
এই প্রতিবেদন সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা। শিশুদের ত্বক খুব স্পর্শকাতর হয়। অনেকের অ্যালার্জির সমস্যাও থাকে। তাই ঘরোয়া টোটকাও ব্যবহার করতে হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।