(বাঁ দিকে) আলিয়া ভট্ট, কিয়ারা আডবাণী (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
বর্ষার মরসুমে ইচ্ছে থাকলেও শাড়িকে ব্রাত্য রাখেন অনেকেই। জলকাদার ঝঞ্ঝাট এড়িয়ে শাড়ি পরার ঝুঁকি নিতে চান না। কোনও অনুষ্ঠান বাড়িই হোক কিংবা অফিসের পার্টি, শাড়ি পরার ইচ্ছে করলেই মাথায় চিন্তার ভাঁজ পড়ে। অথচ শাড়ির মতো কোন পোশাক আছে, যা বাঙালি ললনার রূপ ফুটিয়ে তুলবে! বর্ষাকালে শাড়ি পরতে হলে কয়কটি কথা মাথায় রাখা জরুরি, যাতে সাজ হয়ে ওঠে সুন্দর এবং চলাফেরা করতেও অসুবিধা না হয়।
১) বৃষ্টির সময়ে সুতির শাড়ি অনেক সময়ে পায়ে জড়িয়ে যায়। ফলে কী ধরনের শাড়ি পরবেন, তা খেয়াল করা দরকার। শাড়ি যত হালকা হবে, বর্ষার সাজ ততই আরামদায়ক হবে। শিফন, সিল্ক, জর্জেটের শাড়ি বেছে নিতে পারেন বর্ষায় সাজের জন্য। সুতির শাড়িতে কাদার দাগ বসে যেতে সময় লাগে না, তাই তা এড়িয়ে চলাই ভাল।
২) হালকা কিংবা প্যাস্টেল শেডের শাড়ি নয়, বর্ষায় গাঢ় রঙের শাড়ি পরুন। জল, কাদার দাগ থেকে রেহাই পেতে এই টোটকা মেনে চলুন। গোলাপি, বেগনি, লাল, হলুদ, নীলের বিভিন্ন শেড বেছে নিতে পারেন। কাদা বা ময়লা লেগে গেলে সেটা তুলতেও খুব সমস্যা হবে না রং গাঢ় হলে।
৩) অনেকের সুতো, জরি, চুমকির কাজ করা শাড়ি পছন্দ। কিন্তু বর্ষাকাল তেমন পোশাকের জন্য উপযুক্ত নয়। হালকা বৃষ্টিতেও নষ্ট হয়ে যেতে পারে শাড়ির কাজ। তাই এ সময়ে সুতো-জরির কাজ ছাড়া শাড়ি পরাই সুবিধাজনক। এ সময় পর্দার রানির (আলিয়া ভট্ট) মতো এক রঙা শিফন, অমব্রে এফেক্টের শিফন বেছে নিতে পারেন, কিংবা প্রিন্টেড শাড়িও রাখতে পারেন পছন্দের তালিকায়।
৪) কেবল শাড়ি পরলেই হল না, শাড়ির সঙ্গে হিল পরতে ভালবাসলেও বর্ষায় কিন্তু খুব বেশি হিল না পরাই ভাল। ফ্ল্যাট জুতো কিংবা ব্যালেরিনা বর্ষার জন্য ভাল।
৫) অনেকেই অনুষ্ঠানে একটু কারুকাজ করা জুতো পরেন। কিন্তু হাঁটার সময়ে তাতে শাড়ি আটকে ছিঁড়ে যেতে পারে। এই সমস্যা এড়াতে জুতোর উপর মোমের ফোটা ফেলে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ঘষে নিতে হবে। তা হলে জুতোর চাকচিক্যও বাড়বে আর জুতোর উপরে থাকা পাথর বা কারুকাজের উপরিতল মসৃণ হয়ে তাতে শাড়ি আটকানোর সম্ভাবনাও কমবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy