কোঁকড়া চুলের যত্ন নেওয়া কিন্তু একেবারেই সহজ নয়। ছবি: সংগৃহীত
সোজা চুলের একটা জনপ্রিয়তা থাকলেও, অনেকেই কোঁকড়া চুল পছন্দ করেন। বিয়েবাড়ি বা কোনও অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে সাজে একটু বদল আনতে অনেকেই কৃত্রিম ভাবে চুলটা একটু কোঁকড়া করে নেন। অনেকের তো আবার জন্মগত ভাবেই কোঁকড়া চুল। কোঁকড়া চুল দেখতে খুব সুন্দর লাগে। কিন্তু এই চুলের যত্ন নেওয়া কিন্তু একেবারেই সহজ নয়। বরং বেশ কঠিন। কারণ কোঁকড়া চুল সহজেই উসকোখুসকো হয়ে পড়ে। তা ছাড়া কোঁকড়া চুলে জট পড়ার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। সোজা চুলে যে ভয়টা একেবারেই নেই। প্রকৃত যত্নের অভাবে কোঁকড়া চুল আরও নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আসলে অনেকেই সারা দিনে বিভিন্ন কাজ নিয়ে এত ব্যস্ত থাকেন যে, বাড়তি নজর দিয়ে কোঁকড়া চুলের যত্ন নেওয়া হয়ে ওঠে না। তবে সহজ কয়েকটি উপায় জানলে কোঁকড়া চুলের যত্ন নিতে পারেন সহজেই।
১) কোঁকড়ানো চুলের ক্ষেত্রে ‘প্রি-শ্যাম্পু ট্রিটমেন্ট’ অত্যন্ত জরুরি বিষয়। চুলের গোড়া থেকে যে প্রাকৃতিক সিরাম নিঃসৃত হয় তা কোঁকড়া চুলের ক্ষেত্রে ডগা পর্যন্ত পৌঁছতে পারে না। ফলে চুলে রুক্ষ ভাব চলে আসে। এ ক্ষেত্রে শ্যাম্পু করার আগে মাস্ক কিংবা কন্ডিশনিং অয়েল লাগিয়ে শাওয়ার ক্যাপ কিংবা তোয়ালে জড়িয়ে রাখুন। মিনিট কুড়ি পর শ্যাম্পু করে নিন।
২) কোঁকড়া হলেও চুলের ধরন অনুযায়ী উপযুক্ত শ্যাম্পু নির্বাচন করতে হবে। সুগন্ধি, অ্যালকোহল, সালফেট, সিলিকন এবং প্যারাবেনের মতো রাসায়নিক নেই এমন শ্যাম্পু ব্যবহার করাই এ ক্ষেত্রে ভাল। মাথার ত্বক খুব ভাল ভাবে ঘষতে হবে, যাতে চুলে ময়লা, ধুলোবালি, অতিরিক্ত তেল এবং মৃত কোষ না জমে থাকে।
৩) কোঁকড়া চুল ধোওয়ার সময় ঠান্ডা জল ব্যবহার করুন। চুলের গোড়া থেকে এক ধরনের প্রাকৃতিক তেল বেরোয় যা চুলের গোড়া শক্ত করতে ও চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
৪) কোঁকড়ানো চুল ব্রাশ করবেন না। শ্যাম্পু করার আগে বড় দাঁতের চিরুনি দিয়ে ভাল করে চুল আঁচড়ে নিন। চুল ধোয়ার পরে সিরাম ব্যবহার করতে ভুলবেন না। তাহলে আঙুল দিয়ে আলতো ভাবে চুলের জট ছাড়াতে কোনও অসুবিধা হবে না। ভেজা চুল কখনই চিরুনি দিয়ে আঁচড়াবেন না। স্নানের পর চুল মোছার জন্য গামছা বা খসখসে তোয়ালে ব্যবহার করবেন না। মসৃণ তোয়ালে না থাকলে সুতির কোনও কাপড় দিয়েও চুল মুছে নিতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy