(বাঁ দিকে) রিলায়্যান্স ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন নীতা অম্বানী এবং অভিনেত্রী আলিয়া ভট্ট (ডান দিকে) । ছবি: সংগৃহীত।
শীত আসতেই রুক্ষ হচ্ছে চুল। শুধু তেল মেখে বা শ্যাম্পু করে সমস্যার সমাধান হয় না। নানা ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করেও কাজ না হলে ঘরোয়া, প্রাকৃতিক কিছু উপাদান, যেমন ডিম, টক দইয়ের উপর নির্ভর করেন। কেশচর্চায় এই উপাদানগুলি ব্যবহৃত হয়ে আসছে প্রাচীন কাল থেকেই। ডিম এবং টক দই এমনিতে চুলের জন্য ভাল। চটজলদি চুলে জেল্লা ফেরাতে দারুণ কাজ করে এই টোটকা। এই দুই উপাদানের মিশ্রণে চুল হয় রেশমের মতো নরম। কিন্তু কেশসজ্জা শিল্পী এবং নেটপ্রভাবী অমিত ঠাকুর বলছেন, “স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুলের জন্য এই মিশ্রণ যথেষ্ট নয়।”
রিলায়্যান্স ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন নীতা অম্বানী থেকে বলিউড অভিনেত্রী আলিয়া ভট্ট, প্রিয়ঙ্কা চোপড়া, ক্যাটরিনা কইফ— সকলের কেশচর্চার ভার অমিতের হাতে। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন তিনি। যেখানে অমিত বলেছেন, “আমি চিকিৎসক নই। তবে এই পেশায় আমার এত বছরের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, ডিম এবং টক দইয়ের মিশ্রণ মাখলে বাইরে থেকে চুলের উপকার হয়। কিন্তু ফলিকলের ভিতরে গিয়ে কোনও ভাবেই তা কাজ করতে পারে না।”
ঘরোয়া টোটকা হিসাবে ডিম এবং দইয়ের মিশ্রণ কতটা কাজের?
অমিতের বক্তব্য, টক দইয়ে রয়েছে ল্যাক্টিড অ্যাসিড। এই উপাদানটি মাথার ত্বকে পিএইচের সমতা রক্ষা করতে সাহায্য করে। কিন্তু চুলের ক্ষয় রোধ করতে পারে না। আর ডিমের মধ্যে রয়েছে প্রোটিন, ভিটামিন এবং ফ্যাটি অ্যাসিড। রুক্ষ চুলে রেশমের অনুভূতি এনে দিতে পারে ডিম। কিন্তু ডিমের মধ্যে যে ধরনের প্রোটিন রয়েছে, সেই কণাগুলি আকারে অনেকটা বড়। তাই সহজে চুলের ফলিকলে তা প্রবেশ করতে পারে না।
তা হলে উপায়?
কেশসজ্জা শিল্পী বলছেন, চুলের জেল্লা বৃদ্ধি এবং রুক্ষ চুল নরম করা ব্যতীত অন্য কোনও উপকারে লাগে না এই মিশ্রণ। তবে ডিম কিংবা টক দই থেকে সংগৃহীত সক্রিয় উপাদান থেকে যে সব প্রসাধনী তৈরি করা হয়, সেগুলি চুলের জন্য ভাল। চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে এবং নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে এই ধরনের প্রসাধনী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy