চুলের ক্ষতি রুখতে ঘরোয়া টোটকা। ছবি: সংগৃহীত।
ভিজে চুল শুকোতে রোদের পরশ প্রয়োজন। দুপুরের খাওয়াদাওয়া সারা হলে ছাদে বা উঠোনে বসে চুল শুকোতেন ঠাকুরমা-দিদিমারা। ভিজে, স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় চুল এবং মাথার ত্বকে সংক্রমণের আশঙ্কা বেড়ে যায়। তবে অতিরিক্ত রোদ লাগলে যেমন ত্বকের ক্ষতি হয়। তেমনই চুল রুক্ষ হয়ে যাওয়া, চুলের ডগা ফাটা কিংবা চুলের রং নষ্ট হয়ে যাওয়া বা লালচে হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যার জন্যও কিন্তু দায়ী সূর্যের অতিবেগনি রশ্মি। তবে পুজোর আগে সালোঁর ট্রিটমেন্ট নয়, ক্ষতিকর রোদের হাত থেকে চুল রক্ষা করতে ঘরোয়া কিছু টোটকা ব্যবহার করে দেখা যেতেই পারে।
১) নারকেল তেলের পরত
চুলের পরম বন্ধু হল নারকেল তেল। বাজারে যত ধরনেরই তেল বিক্রি হোক না কেন, এই তেলের কোনও বিকল্প নেই। সূর্যের অতিবেগনি রশ্মির হাত থেকে চুলকে রক্ষা করতে এবং চুলে আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে নারকেল তেল।
২) অ্যালো ভেরা জেল
রোদ লেগে চুলের প্রাকৃতিক রং নষ্ট হয়ে গেলে তা ফিরিয়ে আনতে পারে অ্যালো ভেরা জেল। মাথার ত্বক এবং চুলে অন্তত সপ্তাহে তিন দিন, আধঘণ্টা টাটকা অ্যালো ভেরার শাঁস মেখে রেখে দিন। তার পর হালকা শ্যাম্পু দিয়ে চুল ভাল করে ধুয়ে ফেলুন।
৩) ভিনিগারের পরত
শুধু রোদ নয়, জলে ক্ষারের পরিমাণ বেশি থাকলেও চুলের মান খারাপ হতে থাকে। এই সমস্যা রুখতে শ্যাম্পু করার পর, সমপরিমাণ জল এবং অ্যাপল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে মাথা ধুয়ে নিতে পারেন। এই মিশ্রণ মাথার ত্বকের পিএইচের মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
৪) মধুর পরশ
অতিবেগনি রশ্মি থেকে চুলের ক্ষতি রুখতে চাইলে আর্দ্রতা ধরে রাখতে হবে। ঈষদুষ্ণ জলে ২ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে তা দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এতে চুলের জেল্লা এবং আর্দ্রতা— দুটোই বজায় থাকবে।
৫) গ্রিন টির দ্রবণ
গ্রিন টি-র মধ্যে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, রোদ লেগে হওয়া চুলের ক্ষতি রুখতে সাহায্য করে। জলে চা পাতা ফুটিয়ে, গ্যাস বন্ধ করে কিছু ক্ষণ চাপা দিয়ে রাখুন। ঠান্ডা হলে শ্যাম্পু করার শেষে এই মিশ্রণ দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। তার পর আর জল দিয়ে ধোবেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy