পুরুষের রূপচর্চায় বড় ভূমিকা নেয় দাড়ির কায়দা। এক এক সময়ে দাড়ি নিয়ে এক এক রকমের পরীক্ষা চলে। হালে পুরোপুরি সাফ গালের চেয়ে দাড়িওয়ালা মুখ পুরুষ-ফ্যাশনে বেশি জনপ্রিয়। কিন্তু শুধুই কি চেহারার জন্য প্রয়োজনীয় দাড়ি? না কি এর আর কোনও গুণ আছে?
অনেকেই গ্রীষ্মে দাড়ি রাখতে পারেন না। গালে ঘাম জমে নানা রকমের সংক্রমণ হয়। তার ফলে ত্বকে প্রদাহ হতে থাকে। কিন্তু শীতে সেই সমস্যা নেই। তাই শীতের গোড়া থেকেই অনেক পুরুষ দাড়ি রাখতে শুরু করেন। ইউরোপ এবং আমেরিকার অনেকেই নভেম্বর মাসে দাড়ি কাটেন না। ইংরেজিতে যাকে বলা হয় ‘নো-শেভ নভেম্বর’।
দাড়ি রাখার বেশ কয়েকটি গুণ রয়েছে। দেখে নেওয়া যাক, সেগুলি কী কী।
১। দাড়ির আস্তরণ গালের ত্বককে ভাল রাখে। ত্বকের সংক্রমণ কমায়। ত্বকে বয়সের ছাপ কম পড়ে।
২। নিয়মিত দাড়ি কামালে ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়। দাড়ির গোড়াগুলি মোটা হতে থাকে এবং সেই ছিদ্রপথে বেশি পরিমাণে ময়লা এবং ক্ষতিকারক জীবাণু ভিতরে যায়। এগুলি সবই ত্বকের ক্ষতি করে।
৩। দাড়ি না কামালে, তার গোড়া থেকে এক ধরনের তেল নির্গত হতে থাকে। সেটি ত্বককে আর্দ্র রাখে।
৪। এর পাশাপাশি দাড়ির আরও একটি গুণ রয়েছে। এর প্রভাব পড়ে মনেও। শীতকালে বেলা ছোট হয়ে আসে। অনেকেই এই সময়ে বিষণ্ণ থাকেন। যাঁদের অবসাদের সমস্যা আছে, তাঁদের সমস্যা বাড়ে। বিশেষ করে পশ্চিমের দেশে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। সমীক্ষা বলছে, যে সব পুরুষ দাড়ি রাখেন, তাঁদের বিষণ্ণতা এবং মনখারাপের পরিমাণ তুলনায় কম হয়। শীতের গোড়া থেকে দাড়ি রাখার অভ্যাস শুধু মাত্র ঠান্ডা থেকে গালকে রক্ষা করার জন্য নয়, মন ভাল রাখার জন্যও হতে পারে। বহু যুগ থেকে হয়তো তেমন অভ্যাস তৈরি হয়েছে মানুষের। এমনই মত অনেক বিজ্ঞানীর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy