শানায়া মলহোত্রের মতো জেল্লাদার চুল পাবেন কী করে? ছবি: সংগৃহীত
ছোট হোক বা লম্বা, কোঁকড়া চুল মুখের গড়নটাই পাল্টে দেয়। সাজে একটু বদল আনতে ইদানীং অনেকেই সাঁলোয় গিয়ে চুল ‘কার্ল’ করে নেন। অনেকের আবার প্রকৃতিগত ভাবেই কোঁকড়া চুল। কোঁকড়ানো চুল দেখতে যতটা ভাল লাগে, সামলানো কিন্তু ততটা সহজ নয়। যত্ন না নিলেই সুন্দর চুলের ঔজ্জ্বল্য হারাতে সময় লাগবে না। জট পড়ার প্রবণতাও এ ক্ষেত্রে খুব বেশি।
তবে শত ব্যস্ততার মাঝেও স্নানের সময় খানিকটা সময় বার করলেই কোঁকড়ানো চুল দেখাতে পাহরে কোমল ও মোলায়েম। কী ভাবে?
১) কোঁকড়া চুলের ক্ষেত্রে শ্যাম্পু করার আগে কিছু বিষয় সতর্ক থাকতে হবে। চুলের গোড়া থেকে যে প্রাকৃতিক সিরাম নিঃসৃত হয়, তা কোঁকড়া চুলের ক্ষেত্রে ডগা পর্যন্ত পৌঁছতে পারে না। ফলে চুলে রুক্ষ ভাব আসে স্বাভাবিক ভাবেই। এ ক্ষেত্রে শ্যাম্পু করার আগে মাস্ক কিংবা কন্ডিশনিং অয়েল লাগিয়ে শাওয়ার ক্যাপ জড়িয়ে রাখুন। ২০ মিনিট পর শ্যাম্পু করুন।
২) চুলের ধরন অনুযায়ী উপযুক্ত শ্যাম্পু বাছাই করতে হবে। সুগন্ধি, অ্যালকোহল, সালফেট, সিলিকন এবং প্যারাবেনের মতো রাসায়নিক নেই এমন শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।
৩) কোঁকড়ানো চুলের ক্ষেত্রে কন্ডিশনিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কন্ডিশনার চুলের কোষ রক্ষা করার পাশাপাশি, পরিবেশগত ক্ষতির হাত থেকেও সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে। শ্যাম্পু করার পরও কন্ডিশনার লাগাতে ভুলবেন না যেন। তবে কন্ডিশনার চুলের গোড়াতে নয়, গোড়ার কাছ থেকে খানিকটা চুল ছেড়ে ব্যবহার করুন।
৪) গরম জলে ভুলেও চুল ধোবেন না। চুলের গোড়া থেকে এক ধরনের প্রাকৃতিক তেল বেরোয় যা চুলের গোড়া শক্ত করতে ও চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। চুল ধোয়ার সময়ে ঈষদুষ্ণ জল ব্যবহার করলে সেই প্রাকৃতিক তেল নষ্ট হয়ে যায়। চুল রুক্ষ দেখায়।
৫) কোঁকড়ানো চুল ব্রাশ করবেন না। শ্যাম্পু করার আগে বড় দাঁতের চিরুনি দিয়ে ভাল করে চুল আঁচড়ে নিন। চুল ধোয়ার পরে সিরাম ব্যবহার করুন। তার পর আঙুল দিয়ে আলতো ভাবে চুলের জট ছাড়িয়ে নিতে পারেন। ভেজা চুল কখনওই চিরুনি দিয়ে আঁচড়াবেন না। স্নানের পর চুল মোছার জন্য গামছা বা খসখসে তোয়ালে ব্যবহার করবেন না। এর বদলে বেছে নিন মাইক্রো ফাইবারের নরম তোয়ালে। এ ছাড়াও ব্যবহার করতে পারেন সুতির গেঞ্জি কাপড়ের টি-শার্ট বা টপ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy