ফিটকিরি দিয়ে রূপচর্চা। ছবি: সংগৃহীত।
কেটে-ছড়ে গেলে ক্ষতস্থান পরিষ্কার করে অনেকেই ফিটকিরি ব্যবহার করেন। কারণ, ফিটকিরি হল প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক। দাড়ি কামানোর পর প্রাকৃতিক ‘আফটার সেভ’ হিসাবে আগে ফিটকিরি মাখার চল ছিল। তবে, মেয়েদের প্রসাধনীতে এই বস্তুটির তেমন উপস্থিতি ছিল না। কিন্তু রূপটান শিল্পীরা বলছেন, কাটা-ছেঁড়া ছাড়াও ব্রণ, র্যাশের মতো ত্বকের নানাবিধ সমস্যা দূর করতে পারে ফিটকিরি। তাই মহিলারাও নিশ্চিন্তে এটি ব্যবহার করতে পারেন। তবে তার আগে জেনে রাখা প্রয়োজন, ত্বকে কী ভাবে ফিটকিরি ব্যবহার করতে হবে।
ফিটকিরি মাখলে ত্বকের কী উপকার হবে?
১) ত্বকের জেল্লা বজায় রাখে
ফিটকিরির মধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক ‘অ্যাস্ট্রিনজেন্ট’। যা ত্বকের মধ্যে থাকা ‘সেবাম’গ্রন্থির অতিসক্রিয়তা নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে ত্বক চট করে তেলতেলে হয়ে যায় না। ভিতর থেকে ত্বকের নিজস্ব জেল্লা ফুটিয়ে তুলতেও সাহায্য করে এই উপাদানটি।
২) রোদে পোড়া দাগ দূর করে
বাইরে থেকে ঘুরে আসার পর রোদে পোড়া অংশে মেখে নিতে পারেন ফিটকিরি। এই উপাদানের মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা ব্রণ, ‘হাইপারপিগমেন্টেশন’-এর কালচে দাগ তুলতেও সাহায্য করে।
৩) ব্ল্যাকহেডসের সমস্যায় কাজ দেয়
নাক কিংবা থুতনির উপর অতিরিক্ত তেল জমে, ত্বকের উন্মুক্ত রন্ধ্রগুলি বুজে যায়। তার মধ্যে ধুলোময়লা জমলে ব্ল্যাকহেডস্ হতে পারে। অনেকেই সালোঁয় গিয়ে বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে এই ব্ল্যাকহেডসগুলি তুলে আসেন। তবে, রূপটান শিল্পীরা বলছেন, গোলাপ জলের সঙ্গে ফিটকিরি মিশিয়ে কয়েকটা দিন মুখে মাখলে এই সমস্যা দূর হবে।
কী ভাবে মাখতে হবে ফিটকিরি?
গোলাপ জলের সঙ্গে পরিমাণ মতো ফিটকিরি মিশিয়ে টোনার হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। তৈলাক্ত ত্বকে সেবাম ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে এই দ্রবণ। এ ছাড়া ব্রণের সমস্যা দূর করতে গ্লিসারিনের সঙ্গে ফিটকিরি গুঁড়ো মিশিয়ে মাখা যেতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy