সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মুখেচোখে বার্ধক্যের ছাপ পড়বে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কাউকে কাউকে বয়স অনুপাতে বেশি বয়স্ক দেখায়। চোখের নীচে বলিরেখা, কুঁচকে যাওয়া ত্বক সেই বার্ধক্যের লক্ষণ। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ত্বকে থাকা কোলাজেন নামক প্রোটিনের উৎপাদন কমতে থাকে। তার জেরেই ত্বক ক্রমশ কুঁচকে যায়। আবার বয়স বাড়লেও অনেকের মুখ থেকে যায় টানটান, মসৃণ। শিল্পা শেট্টি থেকে রবিনা ট্যান্ডন, মালাইকা অরোরাকে দেখলেই তা বোঝা যায়।
রূপচর্চা শিল্পী থেকে পুষ্টিবিদ, ত্বকের চিকিৎসকেরাও বলেন, দৈনন্দিন জীবনযাপনে শৃঙ্খলা থাকলে, পুষ্টিকর খাবার এবং শরীরচর্চায় গুরুত্ব দিলে অকালবার্ধক্য এড়ানো যায়। বয়স হলেও ত্বক টানটান রাখা যায় অনেক দিন পর্যন্ত।
তবে, ত্বক টানটান এবং সুন্দর রাখতে যেমন ডায়েটের ভূমিকা থাকে তেমনই ত্বকের যত্নও জরুরি। সম্প্রতি একটি পডকাস্টে ত্বকের চিকিৎসক রশ্মি শেট্টি বার্ধক্য দূরে রাখার সহজ উপায় বাতলেছেন। তিনি জোর দিয়েছেন এক্সফোলিয়েশন এবং ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখার উপরে। নামীদামি প্রসাধনীর বদলে ঘরোয়া উপকরণেই রূপচর্চার কৌশল জানাচ্ছেন তিনি।
এক্সফোলিয়েশন: ত্বকের পরিচর্যায় এক্সফোলিয়েশন জরুরি বলেন রূপচর্চা শিল্পীরা। একই কথা বলছেন চিকিৎসকও। রশ্মি বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেন, বয়সের সঙ্গে সঙ্গে মৃত কোষ আরও বেশি জমতে থাকে। যার ফলে ত্বক নিষ্প্রাণ এবং জেল্লাহীন দেখায়। ত্বক থেকে মৃত কোষ সরিয়ে ফেলার জন্যই এক্সফোলিয়েশন জরুরি। এ জন্য বেসন, দই এবং চিনি ব্যবহার করতে বলছেন তিনি। তিনটি উপকরণ মিশিয়ে মুখে হালকা হাতে মাসাজ করলেই মৃত কোষ ঝরে যাবে। তবে এক দিন মাখলে হবে না। নিয়মিত এ ভাবে রূপচর্চা করলে, তবেই ফল মিলবে।
আর্দ্রতা বজায় রাখা: ত্বক যদি স্বাভাবিক আর্দ্রতা হারায় তা হলে রুক্ষ দেখাবে, খুব স্বাভাবিক। বলিরেখা পড়বে আরও দ্রুত। দুধের সরের সঙ্গে ১ চা-চামচ নারকেল তেল এবং কয়েক ফোঁটা মধু মিশিয়ে মুখে মাখার পরামর্শ দিচ্ছেন রশ্মি। এই মিশ্রণটি মুখে মাসাজ করলে ত্বক আর্দ্র হবে। জেল্লাও ফিরবে।
পাশাপাশি, নিয়মিত ময়েশ্চারাইজ়ার এবং সানস্ক্রিন মাখার পরামর্শও দিচ্ছেন তিনি। কারণ, সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগনি রশ্মি ত্বককে রুক্ষ করে তোলে। ফলে বলিরেখা দেখা দেয় দ্রুত।