ছবি: সংগৃহীত।
বাড়িতে পুজো-অর্চনায় হোক কিংবা জামাকাপড়ে সুগন্ধ আনতে, ঘরের নানা কাজে প্রায়শই আমরা কর্পূর ব্যবহার করি। অনেক সময় আবার বাড়িতে পোকামাকড়ের উপদ্রব শুরু হলেও কর্পূরের খোঁজ পড়ে। আবার, খুশকি দূর করতে নারকেল তেলের মধ্যে এক চিমটে কর্পূর মিশিয়ে মাথায় মাখার চল বহু পুরনো। এখন প্রশ্ন হল, এত রকম নামীদামি প্রসাধনী থাকতে খুশকি তাড়াতে সেই মান্ধাতা আমলের টোটকা কেনই বা ব্যবহার করতে যাবেন?
নারকেল তেলের সঙ্গে কর্পূরের মিশ্রণে কী এমন আছে?
নারকেল তেল মাথার ত্বকে আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এই তেলের মধ্যে রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড। যা অনেকটা কন্ডিশনারের মতো কাজ করে। নারকেল তেল অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদানে ভরপুর। তাই বর্ষাকালে মাথায় ছত্রাকঘটিত সমস্যাও রুখে দিতে পারে।
কর্পূর যেমন এক দিকে অ্যান্টিসেপটিক, তেমন অন্য দিকে অ্যান্টিফাঙ্গালও। প্রদাহজনিত সমস্যা দূর করতে প্রাকৃতিক এই উপাদানটি বেশ ভাল। মাথার ত্বকে খুশকি বা ছত্রাকের উপদ্রব হলে সারা ক্ষণ চুলকায়, অস্বস্তি হয়। এই ধরনের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে কর্পূর। এ ছাড়া মাথার ত্বকে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতেও কর্পূরের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে।
তবে শুধু পুরনো প্রথাই নয়। এই টোটকা নিয়ে নানা রকম গবেষণাও হয়েছে। মাথার ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে এই টোটকা যে কাজ করে তা বেশির ভাগ সমীক্ষাতেই দেখা গিয়েছে। এ ছাড়া নারকেল তেলের গুণাগুণের কথা নতুন করে বলার নয়। ত্বকের চিকিৎসকেরাও এই বিষয়ে সহমত।
কী ভাবে মাখবেন?
আধ কাপ ঈষদুষ্ণ নারকেল তেলের মধ্যে ১ গ্রাম কর্পূর ভাল করে মিশিয়ে নিন। খেয়াল রাখবেন, কর্পূর যেন গোটা না থাকে। স্নান করার আগে এই মিশ্রণ মাথায় ভাল করে মেখে নিন। আধ ঘণ্টা রেখে মাইল্ড কোনও শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দু-তিন বার এই টোটকা মেনে চলতে পারলেই মাথার ত্বক একেবারে খুশকি-মুক্ত হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy