যোগী আদিত্যনাথ। —ফাইল চিত্র।
কুম্ভমেলা যেখানে হয়, সেই জমি ওয়াকফ বোর্ড দখল করে রেখেছে বলে দাবি তুলে নতুন বিতর্ক বাধালেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। দেশ জুড়ে চলা মন্দির-মসজিদ বিতর্কের মধ্যেই আসন্ন কুম্ভমেলার ঠিক আগে তাঁর মন্তব্য, “হাজার হাজার বছর ধরে ভারতীয় ঐতিহ্যের প্রতীক এই কুম্ভ এবং সেটা এখানেই হয়ে আসছে বরাবর। ওয়াকফ বোর্ড আসলে জমি মাফিয়াদের বোর্ড।”
যোগীর দাবি, তাঁর আমলে গঙ্গা দূষণমুক্ত হয়েছে। প্রয়াগরাজে তিনি গঙ্গাস্নান করেছেন, জলও খেয়েছেন, কখনও কিছু হয়নি। তিনি বলেন, গঙ্গার দূষণ নিয়ে মিথ্যা প্রচার চালায় সমাজবাদী পার্টি। যোগীর দাবি, সপা-র আমলে গঙ্গা এত অপরিচ্ছন্ন ছিল যে, মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবিন্দ জগন্নাথ কুম্ভে এসে ডুব দিতে চাননি। যোগী বেসরকারি সংবাদমাধ্যমের অনুষ্ঠানে আজ দাবি করেন, ‘ঐতিহ্যের পুনর্দখল’ চাওয়া খারাপ কিছু নয়। গত বছর সম্ভলের শাহি জামা মসজিদে সমীক্ষা ঘিরে হিংসা ছড়ানোর প্রসঙ্গ তুলে ধরে তাঁর মন্তব্য, “এখন সম্ভলে সনাতনের প্রমাণ মিলছে। বিতর্কিত সৌধগুলিকে মসজিদ বলা ঠিক নয়। ভারত মুসলিম লিগের মানসিকতা দিয়ে চলবে না।”
বিতর্ক হাতের বাইরে যেতে পারে বুঝে সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত সম্প্রতি বলেন, যে ভাবে মসজিদের নীচে শিবলিঙ্গ খোঁজা শুরু হয়েছে, তা দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পক্ষে শুভ নয়। পরে সঙ্ঘের ইংরেজি মুখপত্রের প্রচ্ছদ কাহিনীতে ভিন্ন পথে হাঁটার ইঙ্গিত নজরে আসে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বলে, অযোধ্যার পরে কাশী ও মথুরার বিতর্কিত কাঠামো উদ্ধার কার্যসূচিতে আছে। আমজনতা বাকি বিতর্কিত কাঠামো উদ্ধারে এগিয়ে এলে নৈতিক সমর্থন থাকবে। পরে সুর নরম করে সঙ্ঘের ইংরেজি মুখপত্র। ভাগবতের কথা সমর্থন করা হয় হিন্দি মুখপত্রের সম্পাদকীয়তে। কিন্তু চড়া হিন্দুত্বের জিগির সমান্তরাল ভাবে ধরে রাখা ও উস্কানিমূলক বার্তা ছড়ানোর চেষ্টা চলছে, অভিযোগ বিরোধীদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy