হরিয়ানার রোহতকে যে বাড়িতে কংগ্রেস নেত্রী হিমানী নরওয়াল থাকতেন, তাঁকে সেই বাড়িতেই খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছে পুলিশ। শুধু তা-ই নয়, খুনের পর দেহ ফেলার জন্য তাঁরই ট্রলিব্যাগ ব্যবহার করা হয়েছিল। তদন্তের পর এমনই তথ্য পেয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় রবিবার গভীর রাতে দিল্লি থেকে দু’জনকে আটক করে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে সচিন নামে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে সোমবার পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে।
ধৃত যুবক জেরায় পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, হিমানীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল তাঁর। ব্ল্যাকমেল করে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছিলেন হিমানী। যদিও ধৃতের বয়ান খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ধৃত যুবক যখন ব্ল্যাকমেলের অভিযোগ এবং হিমানীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের দাবি তুলছেন, সেই অভিযোগ এবং দাবিকে সম্পূর্ণ খণ্ডন করেছেন হিমানীর মা সবিতা। তাঁর পাল্টা দাবি, হিমানীর সঙ্গে ধৃতের কোনও সম্পর্কই ছিল না। যাঁর আচার-আচরণই নানা প্রশ্নে ঘেরা, এমন ব্যাক্তির সঙ্গে তাঁর কন্যার সম্পর্ক থাকতে পারে না।
হিমানীর মায়ের আরও দাবি, কোনও এক জন ব্যক্তির পক্ষে এ কাজ করা সম্ভব নয়। তাঁর কন্যার খুনে একাধিক ব্যক্তি জড়িত রয়েছেন বলে মনে করছেন তিনি। তাঁর যুক্তি, খুনের পর দেহ ট্রলিব্যাগে ভরে সেটিকে ফেলে আসা কারও একার পক্ষে সম্ভব নয়। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে হিমানী নিখোঁজ ছিলেন। ১ মার্চ তাঁর দেহ উদ্ধার হয় সাম্পলা বাসস্ট্যান্ডের কাছে।