প্রতীকী ছবি।
পশ্চিমবঙ্গের আরজি কর হাসপাতালে এক চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় যখন গোটা দেশ তোলপাড়, চার দিকে যখন বিচারের দাবি উঠছে, সেই সময়েই উত্তরপ্রদেশের সোনভদ্রে এক নির্যাতিত ছাত্রীর মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে এল। বছর চোদ্দোর ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল স্কুলের ক্রীড়া শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তার চিকিৎসা চলছিল বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে। কয়েক মাস ধরে চিকিৎসা চলার পর মঙ্গলবার তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। অভিযুক্ত সেই শিক্ষককে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর একটি ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল ছাত্রী। স্কুলের ক্রীড়া শিক্ষক ওই ছাত্রীকে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে বলেছিলেন। প্রতিযোগিতা শেষে ছাত্রীটিকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। তার পর তাকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। লোকলজ্জার ভয়ে সেই ঘটনার কথা কাউকে জানায়নি ওই কিশোরী। এমনকি বাড়িতেও নয়। কিন্তু তার শারীরিক অবস্থা দিনে দিনে খারাপ হতে শুরু করেছিল।
পরিবারও কিশোরীর শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণ খুঁজে পাচ্ছিল না। তাই তাকে ছত্তীসগঢ়ে আত্মীয়ের বাড়ি কয়েক দিনের জন্য পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাও করানো হয়। কিন্তু শারীরিক অবস্থার কোনও উন্নতি হচ্ছিল বলে দাবি পরিবারের। তার এই অবস্থার কারণ কী, তা প্রথমে কাকিমাকে বলেছিল কিশোরী। সেই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর কিশোরীকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ, অভিযুক্ত শিক্ষক তাদের ৩০ হাজার টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করেছিলেন। কিশোরীর সঙ্গে ঘটে যাওয়া সেই ঘটনার কথা পুলিশকেও জানায়নি পরিবার। কিন্তু কিশোরীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরই গত ১০ জুলাই অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। তাঁকে গ্রেফতার করার জন্য দু’টি দল গঠন করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy