কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা, মন্ত্রিসভার সচিবালয়, প্রধানমন্ত্রীর দফতর এবং রাষ্ট্রীয় অতিথিদের আপ্যায়নের জন্য প্রতি বছরের বাজেটে একটি নির্দিষ্ট অঙ্ক বরাদ্দ করা হয়। এই বছরে ওই খাতে ১০২৪ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাজেটে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীদের বেতন এবং ভাতা দেওয়া হয় এই বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে। ভিভিআইপিদের বিমানের জন্য খরচও বহন করা হয় এই বরাদ্দ করা টাকা থেকেই।
শনিবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের পেশ করা আগামী অর্থবর্ষের বাজেট পেশ করেছেন। তাতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৬১৯ কোটি ৪ লক্ষ টাকা। চলতি অর্থবর্ষে (২০২৪-২৫) মন্ত্রিসভার জন্য বরাদ্দ ছিল ৫৪০ কোটি ৯৫ লক্ষ টাকা। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের জন্যও বরাদ্দ গত বারের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছরের বাজেটে ৬৫ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ ছিল প্রধানমন্ত্রীর দফতরের জন্য। এ বার তা বৃদ্ধি করে ৭০ কোটি ৯১ লক্ষ টাকা করা হয়েছে। অতিথি আপ্যায়ণ বাবদ খরচে কোনও পরিবর্তন করা হয়নি। গত বছরের মতো এ বারও ৪ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে বাজেটে।
সামগ্রিক ভাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা, প্রধানমন্ত্রীর দফতর, সচিবালয় এবং রাষ্ট্রীয় অতিথিদের জন্য বরাদ্দ সামান্যই বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে এই বরাদ্দ ছিল ১০২১ কোটি ৮৩ লক্ষ টাকা। মন্ত্রিসভা এবং প্রধানমন্ত্রীর দফতরের জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধি পেলেও জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সচিবালয়ের জন্য এ বছর কিছুটা কম বরাদ্দ করা হয়েছে। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে বরাদ্দ হয়েছে ১৮২ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে এই খাতে বরাদ্দ ছিল ২৭০ কোটি ৮ লক্ষ টাকা। জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের বিভিন্ন প্রশাসনিক বৈঠকের জন্য এই টাকা ব্যবহৃত হয়।
আরও পড়ুন:
এ ছাড়া বিজ্ঞান বিষয়ক প্রধান পরামর্শদাতার দফতরের জন্যও বরাদ্দ গত বছরের তুলনায় কিছুটা বৃদ্ধি করেছে কেন্দ্র। গত বছরের বাজেটে এই খাতে ৬৫ কোটি ৭২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ ছিল। এ বার তা বৃদ্ধি করে ৭০ কোটি ১২ লক্ষ টাকা করা হয়েছে।