Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Manipur Violence

‘আমাদের বাঁচান’, আর্জি মণিপুরে অপহৃত যুবকদের, মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, নেপথ্যে ‘কুকি জঙ্গিরাই’

মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ রবিবার দাবি করেছেন, ওই দু’জনকে ‘কুকি জঙ্গি’ অপহরণ করেছে। পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য বিধায়কদের একটি বৈঠকও ডেকেছেন তিনি।

মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন দুই অপহৃত যুবকের।

মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন দুই অপহৃত যুবকের। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:৫০
Share: Save:

আবার নতুন করে উত্তপ্ত হল মণিপুর। চাকরির পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথে তিন যুবককে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। তাঁদের মধ্যে এক জনকে উদ্ধার করেছে সেনা। বাকি দু’জন তাঁদের বাঁচানোর আর্তি জানিয়েছেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীকে। সেই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে (আনন্দবাজার অনলাইন তার সত্যতা যাচাই করেনি)। মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ রবিবার দাবি করেছেন, ওই দু’জনকে ‘কুকি জঙ্গি’ অপহরণ করেছে। পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য বিধায়কদের একটি বৈঠকও ডেকেছেন তিনি।

ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, সাদা টিশার্ট পরা দুই যুবক মুখ্যমন্ত্র্রীর উদ্দেশে বলছেন, ‘‘আমাদের বাঁচান’’। অপহরণকারীরা যে শর্ত দিয়েছেন, তা মেনে নেওয়ার জন্যও মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করছেন তাঁরা। সূত্রের খবর, তাঁরা মেইতেই সম্প্রদায়ের। এই প্রসঙ্গে সমাজমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘‘রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি, বিশেষত কুকি জঙ্গিদের হাতে অপহৃত দুই নিরপরাধ যুবকের উদ্ধারের বিষয়ে নজর দেওয়া হচ্ছে। এই ঘৃণ্য অপরাধকে ধিক্কার জানাই। ওই দু’জনের মুক্তির জন্য সব রকম পদক্ষেপ করছে সরকার।’’

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, থৌবল জেলার বাসিন্দা তিন যুবক কেইথেলমানবিতে স্টাফ সিলেকশন কমিশন (এসএসসি)-এর নিয়োগের পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিলেন। তখনই তাঁদের অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার এক জনকে উদ্ধার করেছে সেনা। বাকি দু’জনের এখনও হদিস মেলেনি। যে যুবককে উদ্ধার করা হয়েছে, তাঁর নাম নিঙ্গোমবাম জনসন। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর শরীরে একাধিক আঘাত রয়েছে। বাকি দুই যুবকের নাম ওইনাম থইথই সিংহ এবং থকচম থইথইবা সিংহ। অপহরণকারীরা দুই যুবককে মুক্তি দেওয়ার পরিবর্তে কী শর্ত দিয়েছে, তা জানাতে চায়নি সেনা বা প্রশাসন। মেইতেই সম্প্রদায়ের লোকজন সমাজমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে দাবি করেছেন, এনআইএর হাতে ধৃত ‘কুকি জঙ্গি’ মার্ক থাঙ্গমাঙ্গ হাওকিপের মুক্তির শর্ত দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে পুলিশ মুখ খোলেনি। একটি সূত্রের দাবি, অপহরণকারীরা সত্যিই সেই দাবি করে থাকলে তাঁরা অবশ্যই ‘কুকি জঙ্গি’।

কুকিদের গ্রাম মূলত মণিপুরের পার্বত্য এলাকায়। আর মেইতেইদের বাস মূলত উপত্যকায়, যেগুলিকে ঘিরে রেখেছে কুকিদের পার্বত্য গ্রাম। ২০২৩ সালের মে মাস থেকে দুই সম্প্রদায়ের সংঘর্ষে মণিপুরে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ২২০ জনের। ঘরছাড়া ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ।

অন্য বিষয়গুলি:

Manipur Violence Kuki Militants Meitei
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE