সোমবার আনুষ্ঠানিক ভাবে ত্রিপুরার পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করতে পারে বিজেপি। তবে মানিক সাহাই আবার মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন বলে দলের রাজ্য সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যমকে ইঙ্গিত দিয়েছেন বলে প্রকাশিত একটি খবরে দাবি।
বুধবার আগরতলায় পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন রাজ্যপাল সত্যদেও নারায়ণ আর্য। আর সেই কর্মসূচিতে হাজির থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আগরতলায় স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে নয়া সরকারের শপথগ্রহণ হবে। সেখানে ইতিমধ্যেই মঞ্চ বাঁধার কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন:
রবিবার সন্ধ্যায় অসমের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপির নেতৃত্বাধীন ‘নেডা’ (নর্থ-ইস্ট ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স) জোটের আহ্বায়ক হিমন্ত বিশ্বশর্মা এবং দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সম্বিত পাত্র ত্রিপুরার নবনির্বাচিত বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন। সেখানে অধিকাংশ বিধায়কই বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী মানিককেই কুর্সিতে চেয়েছেন বলে দলের একটি সূত্রের খবর।
৬০ সদস্যের ত্রিপুরা বিধানসভায় বিজেপি এ বার ৫৫টিতে লড়ে ৩২টি আসনে জিতেছে। সহযোগী আইপিএফটি ৬টিতে লড়ে জিতেছে ১টিতে। বিজেপির ঝুলিতে গিয়েছে প্রায় ৩৯ শতাংশ ভোট। সঙ্গী আইপিএফটি এ বার ভোট পেয়েছে মাত্র ১.২ শতাংশ। বাম-কংগ্রেস জোট প্রায় ৩৮ শতাংশ ভোট পেয়ে ১৪টি আসনে জিতেছে। আর এক বিরোধী দল তিপ্রা মথা প্রায় ২০ শতাংশ ভোট পেয়ে ১৩টি আসনে জিতেছে।
আরও পড়ুন:
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এ বারের বিধানসভা ভোটে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে কাউকে তুলে ধরেনি বিজেপি। বরং কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিককে বিধানসভা ভোটে দাঁড় করিয়ে জল্পনা উস্কে দিয়েছিল তারা। প্রাক্তন সিপিএম মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের বিধানসভা কেন্দ্র ছিনিয়ে এনে এ বার নতুন সমীকরণের সম্ভাবনা উস্কে দিয়েছেন প্রতিমা। শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রিত্ব না পেলেও তিনি এ বার মন্ত্রিসভায় গুরুত্বপূর্ণ স্থান পেতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।