কর্নাটকের হাম্পিতে ইজ়রায়েলি তরুণী এবং স্থানীয় হোম স্টে-র মালকিনকে ধর্ষণের ঘটনায় তৃতীয় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনার পর তিনি তামিলনাড়ুতে পালিয়ে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। রবিবার সেখান থেকেই তাঁকে ধরা হয়েছে। এই নিয়ে হাম্পির ঘটনায় মোট তিন জনকে গ্রেফতার করা হল। তাঁর গ্রেফতারির খবর নিশ্চিত করেছেন কর্নাটকের মন্ত্রী শিবরাজ তাঙ্গদগি।
গত ৬ মার্চ রাতে হাম্পির কোপ্পালে তুঙ্গভদ্রা লেফ্ট ব্যাঙ্ক ক্যানালের ধারে গিয়েছিলেন দুই মহিলা-সহ পাঁচ জন। তাঁদের মধ্যে চার জনই ছিলেন পর্যটক। স্থানীয় হোম স্টে-র মালকিন তাঁদের নিয়ে গিয়েছিলেন রাতের সৌন্দর্য উপভোগ করতে। ছিলেন ইজ়রায়েলি তরুণী ছাড়াও ছিলেন আমেরিকান যুবক ড্যানিয়েল। এ ছাড়া মহারাষ্ট্রের পঙ্কজ এবং ওড়িশার বিভাস ছিলেন তাঁদের সঙ্গে। অভিযোগ, রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ বাইকে করে তিন জন যুবক এসে তাঁদের আক্রমণ করেন।
আরও পড়ুন:
প্রথমে পর্যটকদের কাছে পেট্রল পাম্পের খোঁজ করছিলেন অভিযুক্তেরা। তার পর ১০০ টাকা দাবি করেন। যা দিতে অস্বীকার করা হয়। এর পরেই শুরু হয় বচসা। অভিযোগ, তিন যুবককে মারধর করা হয়। ধাক্কা মেরে তাঁদের ফেলে দেওয়া হয় খালের জলে। ড্যানিয়েল এবং পঙ্কজ কোনও রকমে সাঁতরে পারে উঠে এসেছিলেন। কিন্তু উঠতে পারেননি বিভাস। ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর খাল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
যুবকদের জলে ফেলে দেওয়ার পর দুই তরুণীকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। তার পর ঘটনাস্থল থেকে তিন জন পালিয়ে যান। নির্যাতিতারা পৃথক ভাবে তাঁদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষাও করা হয়। পরে ৮ মার্চ গ্রেফতার করা হয় দুই অভিযুক্তকে। তৃতীয় জন ফেরার ছিলেন। রবিবার তাঁকে ধরা হল। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
বিদেশিনিকে ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় মুখ পুড়েছে কর্নাটক সরকারের। তা মেনে নিয়েছেন মন্ত্রী নিজেও। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া সে দিনই ঘটনার নিন্দা করেছিলেন। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমেও এই খবর প্রকাশিত হয়েছে। নির্যাতিতারা এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।