দিন হোক বা রাত, তাঁকে সব সময় রাতের পোশাক পরে থাকতে বাধ্য করা হয়। শুধু তা-ই নয়, না পরতে চাইলে মারধর থেকে গালিগালাজ, কোনও কিছুই বাদ যায় না। স্বামী এবং শ্বশুর-শাশুড়ির বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তুলে পুলিশের দ্বারস্থ হলেন বধূ। ঘটনাটি গুজরাতের অহমদাবাদের।
পুলিশ সূত্রে খবর, ২০২৩ সালে বিয়ে হয় মহিলার। তার পর থেকেই পোশাকের স্বাধীনতা হরণ করে নেন স্বামী এবং শ্বশুর-শাশুড়ি। মহিলার স্বামী পেশায় একজন চিকিৎসক। মহিলার অভিযোগ, কোন পোশাক তিনি পরবেন তা ঠিক করে দিতেন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। নিজের পছন্দের পোশাক পরা তো দূরঅস্ত্, তাঁকে বাড়িতে সব সময় রাতের পোশাক পরে থাকতে বাধ্য করা হত।
আরও পড়ুন:
মহিলার অভিযোগ, তাঁর স্বামী নিত্য দিন মদ্যপান করেন। বিয়ের পর থেকেই অশান্তি শুরু হয়। ছোটখাটো বিষয়ে ঝগড়া, এমনকি মারধরও করা হত তাঁকে। স্বামীর এই আচরণের কথা শ্বশুর এবং শাশুড়িকে জানান। অভিযোগ, তাঁরা তাঁদের ছেলেকেই সমর্থন করতেন। মহিলার আরও অভিযোগ, কখন তিনি ঘুমোতে যাবেন, কখন ঘুম থেকে উঠবেন, সেই সময়েও ঠিক করে দিয়েছিলেন তাঁর স্বামী। বার বার হেনস্থার শিকার হয়ে, স্বামীর বাড়িতে নিজের স্বাধীনতা হারিয়ে শেষে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন মহিলা। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতন, গার্হ্যস্থ হিংসা-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।