খয়রাতির রাজনীতি মানুষকে কর্মবিমুখ, পরজীবী করে তুলছে বলে পর্যবেক্ষণ শীর্ষ আদালতের। সুপ্রিম কোর্টের মতে, যে কোনও নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলি যে ভাবে খয়রাতি তথা ‘উপহার দেওয়ার রাজনীতি’ শুরু করে, তাতে খেটে খাওয়ার ইচ্ছে জনমানস থেকে ক্রমশ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। তৈরি হচ্ছে পরজীবী শ্রেণি। উদাহরণ হিসেবে উঠে এল মহারাষ্ট্রের ‘লড়কী বহিন’ প্রকল্পের নাম।
শহরাঞ্চলে গৃহহীন ব্যক্তিদের আশ্রয়ের অধিকার ও ব্যবস্থা সংক্রান্ত একটি মামলায় এই তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করে বিচারপতি বি আর গাভাই এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসির বেঞ্চ। বিচারপতিদ্বয়ের কথায়, এই ধরনের মানুষদের সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার কোনও ব্যবস্থা করা হচ্ছে না। স্রেফ খয়রাতির সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে এঁদের মধ্যেও ক্রমশ তৈরি হচ্ছে কর্মবিমুখতা।
দুই বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ‘মানুষকে সমাজের মূলস্রোতে এনে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে কার্যত কোনও রাজনৈতিক দলই উৎসাহ দেয় না। ফলে একটি পরজীবী শ্রেণি তৈরি হচ্ছে। ভোটের আগে লড়কী বহিনের মতো একাধিক প্রকল্প চালু করার ফলে মানুষ ক্রমশ কর্মবিমুখ হয়ে উঠেছে। কাজ না করলেও রেশনও মিলছে, টাকাও আসছে।’ শহরাঞ্চলে দারিদ্র দূরীকরণ অভিযান কার্যকর করতে কত সময় লাগবে, সেই তথ্য এ দিন কেন্দ্রের কাছে চেয়ে পাঠিয়েছে বিচারপতি গাভাই ও বিচারপতি মাসির বেঞ্চ। সংবাদ সংস্থা
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)