Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Shraddha Walkar Murder Case

করাত দিয়েই শ্রদ্ধার দেহ কেটে ৩৫ টুকরো করেন আফতাব! বলছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট

মেহরৌলীর জঙ্গল এবং গুরুগ্রামের এলাকা থেকে পাওয়া হাড়গুলি আদৌ শ্রদ্ধার দেহের কি না, তা জানতে ময়নাতদন্ত করা হয়।

ফ্ল্যাট থেকে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করার পর শ্রদ্ধার বাবার ডিএনএ নমুনার সঙ্গে তা মিলিয়ে দেখা হয়।

ফ্ল্যাট থেকে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করার পর শ্রদ্ধার বাবার ডিএনএ নমুনার সঙ্গে তা মিলিয়ে দেখা হয়। —ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৩ ১০:১৯
Share: Save:

শ্রদ্ধা ওয়ালকরের দেহ করাত দিয়েই ৩৫ টুকরো করা হয়েছিল। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতে এই তথ্য উঠে এল। দিল্লির এমসে শ্রদ্ধার মৃতদেহের হাড়গুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছিল। এমসের চিকিৎসকেরা ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানিয়েছেন যে, শ্রদ্ধার দেহ করাত দিয়ে কেটে ৩৫ টুকরো করা হয়েছিল। একটি সূত্র উদ্ধৃত করে এই খবর জানিয়েছে এনডিটিভি।

এই খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত আফতাব পুণাওয়ালা মেহরৌলীর জঙ্গলের চারদিকে এবং গুরুগ্রামে শ্রদ্ধার দেহের টুকরো ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। পরে দিল্লি পুলিশকে তার খোঁজও দেন আফতাব। জঙ্গল থেকে পাওয়া হাড়ের ডিএনএ নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ওই হাড়গুলি যে শ্রদ্ধার দেহের, তা ওই পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়। এমনকি, শ্রদ্ধা এবং আফতাব দিল্লির যে ফ্ল্যাটে একত্রবাস করতেন, সেখানে রক্তের চিহ্ন খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল। ফ্ল্যাট থেকে ওই রক্তের নমুনা সংগ্রহ করার পর শ্রদ্ধার বাবার ডিএনএ নমুনার সঙ্গে তা মিলিয়ে দেখা হয়। ফ্ল্যাটে পাওয়া রক্ত যে শ্রদ্ধার, তারও প্রমাণ মেলে। গত বছরের নভেম্বর মাস থেকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন আফতাব।

প্রসঙ্গত, শ্রদ্ধা ওয়ালকর হত্যাকাণ্ডের খুনের তদন্তে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করেছে মহারাষ্ট্র সরকার। মঙ্গলবার মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস এই ঘোষণা করেছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, এই মামলায় অভিযোগ দায়ের করতে পুলিশের অযথা দেরি হয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখবে সিট। গত বছর ১৮ মে দিল্লির মেহরৌলীর ছতরপুর এলাকায় ভাড়া নেওয়া ফ্ল্যাটে শ্রদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠেছে তাঁর প্রেমিক আফতাবের বিরুদ্ধে। আফতাবের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, খুনের পর দিন কয়েক ধরে শ্রদ্ধার দেহ ৩৫ টুকরো করেন তিনি। এর পর প্রায় ৩ সপ্তাহ ধরে ওই দেহাংশগুলি একটি ফ্রিজে রেখেছিলেন। যা পরে মেহরৌলীর জঙ্গলের বিভিন্ন প্রান্তে ফেলতে যেতেন আফতাব।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy