পুলিশের নজরে আফতাবের ডেটিং অ্যাপের প্রোফাইল। গ্রাফিক- সনৎ সিংহ।
ডেটিং অ্যাপে কোন কোন মহিলার সঙ্গে চ্যাট করতেন শ্রদ্ধা ওয়াকারের খুনি প্রেমিক আফতাব? উত্তর জানতে এ বার ডেটিং অ্যাপ ‘বাম্বল’-এর কাছে তথ্য চাইবে দিল্লি পুলিশ। ওই ডেটিং অ্যাপে আফতাবের প্রোফাইল সংক্রান্ত তথ্য খতিয়ে দেখবে পুলিশ। শ্রদ্ধাকে খুনের পর তাঁর দেহ ৩৫ টুকরো করেছিলেন আফতাব। তার পর সেই দেহাংশগুলি ফ্রিজ ও আলমারিতে লুকিয়ে রেখেছিলেন আফতাব। এর পর ওই ডেটিং অ্যাপে অন্য এক মহিলার সঙ্গে আলাপ হয়েছিল তাঁর। ওই মহিলা আফতাবের বাড়িতে গিয়েছিলেন বলেও দাবি করা হয়েছে।
ডেটিং অ্যাপে কত জন মহিলার সঙ্গে চ্যাট করতেন আফতাব? তাঁদের মধ্যে কোন কোন মহিলা আফতাবের বাড়িতে গিয়েছিলেন? এ ব্যাপারে জানতেই ওই ডেটিং অ্যাপের কাছে তথ্য চাওয়া হবে বলে দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, শ্রদ্ধাকে খুনের পর ডেটিং অ্যাপে এক মহিলার সঙ্গে আলাপ হয়েছিল আফতাবের। সেই মহিলা আফতাবের বাড়িতেও গিয়েছিলেন। ওই সময় শ্রদ্ধার দেহাংশ ফ্রিজের মধ্যে লুকোনো ছিল। ডেটিং অ্যাপে যে সব মহিলার সঙ্গে আফতাব চ্যাট করতেন, তাঁদের নাগাল পেলে শ্রদ্ধাকে খুনের ব্যাপারে আরও তথ্য জানা যেতে পারে বলে মনে করছে দিল্লি পুলিশ।
বস্তুত, শ্রদ্ধা ও আফতাবের আলাপও হয়েছিল একটি ডেটিং সাইটের মাধ্যমে। পরে সেই আলাপ প্রেমে গড়ায়। প্রেমিককে নিয়ে এক সঙ্গে থাকবেন বলে ঘর ছেড়েছিলেন শ্রদ্ধা। ভিন্ধর্মের ছেলের সঙ্গে মেয়ের সম্পর্ক তৈরি হোক, প্রথম থেকেই চাননি শ্রদ্ধার বাবা-মা। কিন্তু, প্রেমের টানে বাবা-মায়ের আপত্তিকে অগ্রাহ্য করেই ঘর ছেড়েছিলেন শ্রদ্ধা। যাঁর জন্য ঘর ছেড়েছিলেন শ্রদ্ধা, সেই প্রেমিকের হাতেই খুন হতে হল তাঁকে।
গত ১০ নভেম্বর মেয়ের হদিশ না পেয়ে মুম্বই পুলিশে এফআইআর দায়ের করেছিলেন শ্রদ্ধার বাবা। প্রেমিকের সঙ্গে শ্রদ্ধা থাকতেন দিল্লিতে। তাই ওই অভিযোগ দিল্লি পুলিশকে জানানো হয়। এর পরই আফতাবকে পাকড়াও করা হয়। জেরা চলাকালীন খুনের কথা স্বীকার করেন আফতাব। বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন শ্রদ্ধা। এ নিয়ে অশান্তির জেরেই তাঁকে খুন করেছেন বলে দাবি করেছেন আফতাব।
মঙ্গলবার আফতাবকে নিয়ে মেহরৌলি জঙ্গলে যায় পুলিশের একটি দল। খুনের পর শ্রদ্ধার দেহ টুকরো টুকরো করে তা বিভিন্ন জায়গায় ফেলে দিয়েছিলেন আফতাব। শ্রদ্ধার দেহাংশের খোঁজেই ওই জঙ্গলে আফতাবকে নিয়ে যায় পুলিশের একটি দল। এখনও পর্যন্ত শ্রদ্ধার দেহের ১২টি টুকরো উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা যায়নি বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy