Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪

সার্জিকাল স্ট্রাইক নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ শিবসেনার 

দলীয় মুখপত্রে আজ লেখা হয়েছে, ‘‘তখন বলা হয়েছিল, ওই অভিযানে পাক জঙ্গিদের কোমর ভেঙে যাবে। কিন্তু সেই ভুল ভেঙে গিয়েছে। ’’

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২০ ০৩:০১
Share: Save:

বিজেপির শরিক হিসেবে তখন তারা বালাকোটে সার্জিকাল স্ট্রাইককে সমর্থন করেছিল। বিরোধী শিবিরে ভিড়ে রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পরে এখন সেই শিবসেনাই সার্জিকাল স্ট্রাইকের যৌক্তিকতা ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলল। দলীয় মুখপত্রে আজ লেখা হয়েছে, ‘‘তখন বলা হয়েছিল, ওই অভিযানে পাক জঙ্গিদের কোমর ভেঙে যাবে। কিন্তু সেই ভুল ভেঙে গিয়েছে। ’’

গত এক মাসে মহারাষ্ট্রের হাফ ডজনের বেশি জওয়ান মারা গিয়েছেন কাশ্মীরে। বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে দলীয় মুখপত্রে উদ্ধব ঠাকরেদের প্রশ্ন, ‘‘সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহার হয়েছে। তার আগে হয়েছে সার্জিকাল স্ট্রাইক। তবু উপত্যকার পরিস্থিতি কেন পাল্টাল না? জওয়ানদের মৃত্যুতেই স্পষ্ট, কাশ্মীরে সব কিছু ঠিক নেই।’’

জোট ছাড়ার আগে মুখ্যমন্ত্রী পদের মেয়াদ ভাগাভাগির প্রশ্নে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহকে মিথ্যাবাদী বলতে ছাড়েনি শিবসেনা। এখন শাহের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদীকেও কার্যত মিথ্যাবাদী বলছে শিবসেনা। দলের মুখপত্রে লেখা হয়েছে, ‘মোদী ও শাহ বলে থাকেন, ভারতের নয়, পাক সেনা মারা যাচ্ছে। অথচ জওয়ানদের তেরঙ্গা মোড়া কফিন ফিরছে বাড়িতে। কাশ্মীর শান্ত— এই প্রচার করে সত্যকে চাপা দেওয়া যাচ্ছে না।’ এই প্রসঙ্গে উদ্ধবের দলের আরও তীব্র কটাক্ষ, ‘যুদ্ধে বা ছায়াযুদ্ধে মারা গেলে সেনার কফিন তেরঙ্গায় ঢেকে ফেরানোটা প্রথা। নয়তো এই সরকার সেনা-মৃত্যুর খবরও চেপে যেত।’ কাশ্মীরের জনতার কণ্ঠরোধের অভিযোগ এনে লেখা হয়েছে, ‘বন্দুকের শব্দ থামছে না কাশ্মীরে। সেই শব্দকে আনন্দ-উল্লাস হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে। ৩১ ডিসেম্বর থেকে এসএমএস পরিষেবা চালু হলেও কাশ্মীরে গণসংযোগ ব্যবস্থা চালু হয়নি। নেট বন্ধই।’

বিজেপি নেতৃত্ব সরাসরি এই আক্রমণের পাল্টা কিছু না-বললেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে আজও জানানো হয়েছে, কাশ্মীরের পরিস্থিতি আগের চেয়ে স্বাভাবিক। গত তিন মাসে কাশ্মীরে বড় বিক্ষোভ হয়নি। মারা যাননি সাধারণ নাগরিক। অনুপ্রবেশও অনেক কমেছে। যদিও এখনও কেন রাজ্যের তিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে বন্দি বা গৃহবন্দি রাখা হয়েছে, গত কালও এর সদুত্তর দিতে পারেননি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ। পুনরাবৃত্তি করেছেন একই যুক্তির, ‘‘স্থানীয় প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেবে। কেন্দ্রের কিছু করার নেই।’’

জম্মু-কাশ্মীরের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উপরাজ্যপাল জি সি মুর্মু কাল বৈঠক করেছেন। আজ এসেছেন দিল্লিতে। সূত্রের খবর, গৃহবন্দি নেতাদের মুক্তি ও মোবাইল পরিষেবা চালু করার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে আলোচনার পরে চলতি সপ্তাহেই কোনও ঘোষণা করতে পারে জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন।

অন্য বিষয়গুলি:

Shivsena BJP Surgical Strike
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy