দুর্ঘটনায় মৃত মহিলা। —ফাইল চিত্র।
মুম্বইয়ে বিএমডব্লিউ গাড়ির ধাক্কায় মহিলার মৃত্যুর ঘটনায় এ বার মূল অভিযুক্তের বাবা শিবসেনা (শিন্ডে শিবির) নেতা রাজেশ শাহকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তবে এখনও পলাতক ঘটনার মূল অভিযুক্ত মিহির শাহ। মুম্বইয়ের ওরলি এই দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে বলে খবর।
রবিবার ভোরে স্কুটারে চেপে সাসুন ডকে মাছ কিনতে গিয়েছিলেন প্রদীপ নাকভা। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী কাবেরী। ওরলির কোলিওয়াড়া এলাকার বাসিন্দা প্রদীপের মাছের ব্যবসা। প্রতি দিন ডক এলাকা থেকে মাছ কিনে এনে বাজারে বিক্রি করেন নাকভা দম্পতি। রবিবার ফেরার পথে তাঁদের স্কুটিটিতে পিছন থেকে এসে সজোরে ধাক্কা মারে একটি বিএমডব্লিউ। প্রদীপ ছিটকে রাস্তায় পড়লেও কাবেরীকে বেশ কিছুটা পথ টেনে নিয়ে যায় গাড়িটি।
দুর্ঘটনার পরেই পালিয়ে যান চালক। আহত মহিলাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তাঁর স্বামীর চিকিৎসা চলছে। পুলিশ খুনের মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে জুহুর একটি পানশালায় মদ্যপান করছিলেন মিহির। ভোররাতে ফেরার সময় চালককে একটু ঘুরিয়ে আনতে বলেন। ওরলির কাছে এসে তিনি গাড়ি চালাতে চেয়ে বায়না ধরেন। চালক ছেড়ে দেন। মিহির গাড়ি চালানোর কিছু ক্ষণের মধ্যেই ধাক্কা দেন ওই স্কুটারে। তার পর পালিয়ে যান। এই কাণ্ড ঘটানোর পর বাবা রাজেশ শাহকে ফোন করে বিষয়টি জানান মিহির। তার পর থেকে মিহিরের মোবাইল বন্ধ।
মিহিরের সন্ধানে বিভিন্ন জায়গায় হানা দিচ্ছে মুম্বই পুলিশ। ঘটনার পর ওই বিএমডব্লিউ গাড়ির চালক এবং শিব সেনা নেতা রাজেশকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। মিহিরের খোঁজ পেতে দু’জনকে জেরা করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, দু’জনের কেউই তদন্তে সহযোগিতা করেননি। সেই কারণে জিজ্ঞাসাবাদের পর দু’জনকেই গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক ভাবে তদন্তে দেখা গিয়েছে, দুর্ঘটনার পর প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টা করেছেন মিহির। গাড়ির কাচে শিবসেনার স্টিকার ছিল। সেটি তুলে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে তার পর তিনি কোথায় গেলেন, সেটাই জানার চেষ্টায় রয়েছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy