প্রতীকী চিত্র।
উৎসবের মরসুমে আশা জাগিয়েও ফের মুখ থুবড়ে পড়ল পরিষেবা ক্ষেত্র। অক্টোবরের তুলনায় নামল উৎপাদন ক্ষেত্রের সূচকও। অর্থনীতিবিদদের মতে, উৎসবের মরসুমে পণ্য ও পরিষেবা উভয় ক্ষেত্রেই চাহিদা বেড়েছিল। তাতে অর্থনীতিতে গতি এসেছিল। কিন্তু ফের কিছুটা মন্দগতি। যদিও তাঁদের আশা, ফের ঘুরে দাঁড়িয়ে খুব শীঘ্রই কোভিড পূর্ববর্তী অবস্থানে পৌঁছবে অর্থনীতি।
এপ্রিল থেকে জুন— প্রথম ত্রৈমাসিকে কোভিডের জন্য় দেশের জিডিপি-তে রেকর্ড সঙ্কোচন হয়েছিল। নেমে গিয়েছিল মাইনাস ২৩.৯ শতাংশে। তবে দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে সেখান থেকে অনেকটাই বেড়ে হয়েছিল মাইনাস ৭.৫ শতাংশে। অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর তৃতীয় ত্রৈমাসিকে জিডিপি আরও বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু নতুন এই তথ্যে ফের কিছুটা উদ্বেগ বাড়িয়ে দিল।
বিভিন্ন ক্ষেত্রের আর্থিক ওঠানামা বুঝতে পার্চেজিং ম্যানেজার্স ইনডেক্স বা পিএমআই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সূচক ৫০ এর নীচে থাকলে ঋণাত্মক এবং উপরে থাকলে ধনাত্মক ধরা হয়। আর্থিক সমীক্ষাকারী সংস্থা ‘আইএইচএস মার্কিট’-এর হিসেবে পরিষেবা ক্ষেত্রে সেই পিএমআই অক্টোবরের তুলনায় নভেম্বরে কমেছে প্রায় .৪ শতাংশ। অক্টোবরে এই সূচক ছিল ৫৪.১ শতাংশ। নভেম্বরে সেই সূচক নেমে হয়েছে ৫৩.৭ শতাংশ। প্রায় একই হারে কমেছে উৎপাদন ক্ষেত্রের সূচকও। আবার পরিষেবা ও উৎপাদনের মিলিত সূচকও অক্টোবরের ৫৮.০ থেকে ৫৬.৩-এ নেমে যাওয়ায় আশঙ্কা আরও বেড়েছে।
আরও পড়ুন: কৃষকদের সমস্যা না মেটালে দেশজুড়ে আন্দোলনে নামবে তৃণমূল, বার্তা মমতার
আরও পড়ুন: শুভেন্দু অধ্যায় ‘ক্লোজড’, দলের অন্দরে স্পষ্ট বার্তা দলনেত্রী মমতার
আইএইচএস মার্কিট বিবৃতিতে বলেছে, ‘বেসরকারি ক্ষেত্রে উৎপাদন ও বিক্রি ভাল জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিল। তবে নভেম্বরে এসে কিছুটা গতি হারিয়েছে’। সংস্থার যুক্তি, ‘ক্রেতারা এখনও কেনাকাটা করতে বাইরে বেরনোর বদলে ঘরবন্দি থাকতেই বেশি পছন্দ করছেন। সেই কারণেই এই পরিস্থিতি’। তবে করোনাভাইরাসের টিকা এলে দ্রুত এই পরিস্থিতি থেকে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে বলেও আশাপ্রকাশ করেছেন আইএইচএস মার্কিটের আর্থিক বিশ্লেষকরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy