একটি ঘরে বন্দি রয়েছেন কয়েক জন তরুণী। তাঁদের হাত, মুখ বাঁধা রয়েছে। শরীর থেকে রক্ত ঝরছে। সমাজমাধ্যমে ভিডিয়োটি পোস্ট করে এক ব্যবহারকারী দাবি করেছেন, ‘লভ জিহাদ’-এর মাধ্যমে হিন্দু মেয়েদের অপহরণ করে খুন করা হচ্ছে। তার পর তাঁদের অঙ্গ ৭০ থেকে ৯০ লক্ষ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। এই ভিডিয়ো খতিয়ে দেখে তা অসত্য বলে জানাল একটি তেলঙ্গানার সংবাদসংস্থা। তাদের দাবি, ভিডিয়োতে যা দেখানো হয়েছে, তা ‘কাল্পনিক’।
প্রায় সাড়ে সাত মিনিটের একটি ভিডিয়ো ফেসবুকে পোস্ট করেছেন জনৈক। তেলুগু ভাষায় তিনি লিখেছেন, ‘‘সাবধান, লভ জিহাদ দিয়ে নিরীহ হিন্দু মেয়েদের অপহরণ করছে ওরা। তাঁদের খুন করে দেহের অংশ ৭০ থেকে ৯০ লক্ষ টাকায় বিক্রি করছে।’’ ভিডিয়োর শুরুতে দেখে যায়, এক যুবকের সঙ্গে একটি বাড়ির দরজায় ধাক্কা দিচ্ছেন এক প্রবীণা। অন্য এক যুবক এসে দরজা খুলতেই তাঁকে মারধর শুরু করেন দ্বিতীয় যুবক। এর পরে বাড়ির ভিতরে তল্লাশি করতে শুরু করেন ওই যুবক এবং প্রবীণা। শেষ পর্যন্ত একটি ঘরের আলমারি থেকে হাত, মুখ বাঁধা অবস্থায় তিন তরুণীকে উদ্ধার করা হয়। সেই ভিডিয়োতে দাবি করা হয়েছে যে, তরুণীদের ফাঁসিয়ে খুন করার চক্রান্ত করছেন অভিযুক্ত যুবক। খুনের পরে তরুণীদের দেহের অংশ বিক্রির কারবার করা হয় সেখানে।
আরও পড়ুন:
তেলঙ্গানার সংবাদসংস্থার দাবি, ওই ভিডিয়োতে একটি ‘কাল্পনিক’ গল্প দেখানো হয়েছে। আসল ভিডিয়োর শুরুতে পর্দায় একটি লেখা ভেসে ওঠে। তাতে বলা হয়েছে, ‘‘এই ভিডিয়োতে যা দেখানো হয়েছে, তা শুধুই বিনোদনের জন্য।’’ এর পরে দেখা যায়, এই ভিডিয়োর সম্প্রসারিত অংশটি ইউটিউবে পোস্ট করা হয়েছিল ২০২৩ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি। নবীন জাংগ্রা চ্যানেলে সেটি পোস্ট করা হয়েছিল। শিরোনামে লেখা রয়েছে, ‘দেখুন কী ভাবে মেয়েদের অপহরণ করা হয়, তার পরে কী করা হয়’। ওই ভিডিয়োতে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের ওই চ্যানেলে পোস্ট করা আরও কিছু ভিডিয়োতেও দেখা গিয়েছে। সংবাদসংস্থার দাবি, এর থেকে স্পষ্ট যে, ভাইরাল ভিডিয়োয় যে তরুণী, তরুণদের দেখা গিয়েছে, তাঁরা সকলেই অভিনয় করছেন। ভিডিয়োটিতে ‘কাল্পনিক’ গল্প তুলে ধরা হয়েছে।