Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
National News

নাবালিকা ‘ধর্ষিতা’র বাবাকে গুলি করে খুন, এবারও সেই উত্তরপ্রদেশ

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
ফিরোজাবাদ শেষ আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ২১:০২
Share: Save:

ধর্ষণের অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য চাপ। না মানলে পরিবারের লোকজনকে খুনের হুমকি। পুলিশকে এ সব কিছু জানানোর পরেও নাবালিকা ‘ধর্ষিতা’র বাবাকে গুলি করে খুনের অভিযোগ উঠল ধর্ষণে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। উন্নাওয়ের পর ফের শিরোনামে উত্তরপ্রদেশ। এ বার ফিরোজাবাদ।

সোমবারের এই ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে উত্তরপ্রদেশের পুলিশ-প্রশাসনের ভুমিকা। ঘটনায় তিন পুলিশ অফিসারকে সাসপেন্ড করে মুখ রক্ষার চেষ্টা হয়েছে। তবে পুলিশি গাফিলতির চরম নিদর্শনের অভিযোগ তুলে ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকাবাসী।

পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার বাড়ি ফেরার পথে খুব কাছ থেকে গুলি করে পালিয়ে অভিযুক্ত যুবক। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তাঁর পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, অভিযুক্ত আচমন উপাধ্যায় যে বার বার খুনের হুমকি দিচ্ছে, সে কথা পুলিশকে জানানোর পরেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি তারা।

আরও পড়ুন: ঘৃণ্য অপরাধীও সব আইনি বিকল্প পাবে, নির্ভয়া কাণ্ডে বলল আদালত

পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছরের অগস্ট মাসে একাদশ শ্রেণির ছাত্রী বছর পনেরোর নাবালিকাকে আচমন উপাধ্যায় নামে ওই যুবক ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। কিন্তু ঘটনার এত দিন পরেও তাকে গ্রেফতারই করতে পারেনি পুলিশ। তাকে ধরতে পুলিশের পাঁচটি দল গঠন করা হয়েছিল। আচমনের সম্পর্কে খবর দিতে পারলে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কারের ঘোষণা পর্যন্ত করেছিল পুলিশ। কিন্তু অভিযুক্ত অধরাই থেকে গিয়েছে।

অথচ ঘটনার পর থেকেই আচমন নিয়মিত ধর্ষণের মামলা তুলে নেওয়ার চাপ এবং খুনের হুমকি দিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ নির্যাতিতার পরিবারের লোকজনের। নির্যাতিতার বাবাকে খুনের পর তাঁরা জানিয়েছেন, গত সপ্তাহেও আচমন হুমকি দিয়েছিল, মামলা তুলে না নিলে পাঁচ দিনের মধ্যে পরিবারের এক জনকে খুন করবে সে। পরিবারের অভিযোগ, তাঁরা পুলিশকে এই সাম্প্রতিক হুমকির কথা বিস্তারিত জানানোর পরেও পুলিশ কিছুই করেনি। কার্যত হাত গুটিয়ে বসে ছিল।

আরও পড়ুন: চোরাই মালের তালিকা দিয়ে কিনে আনতে বলেছিল সিঁথি থানা! তদন্তে নতুন মোড়

এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে দু’জন স্টেশন ইনচার্জ এবং এক জন স্থানীয় থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত অধিকারিকের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির প্রমাণ মিলেছে। তাই ওই তিন জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

২০১৮ সালে উত্তরপ্রদেশেরই উন্নাওয়ে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গারের বিরুদ্ধে। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করায় হেনস্থা করতে তরুণীর বাবাকে পুলিশ গ্রেফতার করে। থানার লকআপেই মারধরে মৃত্যু হয় তাঁর। এর পর ওই তরুণী উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বাসভবনের সামনে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলে ওই ঘটনা ঘিরে সারা দেশে আলোড়ন পড়ে যায়। কিন্তু তার পরেও ওই তরুণীকে গাড়ি দুর্ঘটনা ঘটিয়ে খুনের চেষ্টারও অভিযোগ ওঠে সেঙ্গারের বিরুদ্ধে। আদালতের নির্দেশে সেই ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই।

আবার এই উন্নাওয়েই এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন অভিযুক্ত। কিন্তু জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর ওই তরুণীকে আগুনে পুড়িয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে ধর্ষণে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে।

ফের সেই উত্তরপ্রদেশেরই ফিরোজাবাদে নারীর বিরুদ্ধে আরও এক ভয়ঙ্কর অপরাধের ঘটনায় অস্বস্তিতে যোগী আদিত্যনাথের পুলিশ-প্রশাসন।

অন্য বিষয়গুলি:

Uttar Pradesh Rape Firozabad Shot Dead
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy