জেল থেকে প্যারোলে মুক্তি পাওয়ার পর আবার বিতর্কে জড়ালেন রাম রহিম। ফাইল চিত্র।
ধর্ষণ ও খুনের অপরাধী স্বঘোষিত ধর্মগুরু রাম রহিমের সৎসঙ্গে (আধ্যাত্মিক প্রচার) অংশ নিল ৩০০ জনেরও বেশি স্কুল পড়ুয়া। এমনই অভিযোগ উঠেছে উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরে। এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের ‘বেসিক শিক্ষা অধিকারী’ (বিএসএ)।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, গত বৃহস্পতিবার রোজা থানা এলাকায় সৎসঙ্গের আয়োজন করা হয়েছিল। অনলাইনে এই সৎসঙ্গের আয়োজন করা হয়। একটি ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, ৩০০ জনেরও বেশি স্কুল পড়ুয়া ইউনিফর্ম পরে সেখানে উপস্থিত হয়েছে। তাদের সঙ্গে ছিলেন শিক্ষকরাও। যদিও ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। এই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই বিতর্ক শুরু হয়েছে।
এক ইংরাজি দৈনিককে বিএসএ সুরেন্দ্র কুমার রাওয়াত বলেছেন, ‘‘অনলাইন সৎসঙ্গে স্কুল পড়ুয়ারা ছিল কি না জানতাম না। কোন স্কুল থেকে পড়ুয়াদের ওই সৎসঙ্গে যোগ দিতে পাঠানো হয়েছিল, তা জানতে ব্লক শিক্ষা আধিকারিককে নির্দেশ দিয়েছি। রিপোর্ট পাওয়ার পরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
পুলিশ সূত্রে খবর, অনলাইন সৎসঙ্গের জন্য বড় স্ক্রিনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ২ হাজার জনেরও বেশি মানুষ সেখানে জড়ো হয়েছিলেন। আশপাশের এলাকা থেকে বাসে করে প্রচুর মানুষকে সেখানে আনা হয়েছিল।
ধর্ষণ ও খুনে অপরাধী রাম রহিম প্যারোলে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। ডেরা সাচা সৌদা প্রধানকে ৪০ দিনের জন্য মুক্তি দেওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন দিল্লির মহিলা কমিশন (ডিসিডব্লিউ)-এর চেয়ারপার্সন স্বাতী মালিওয়াল। রাম রহিমকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। এই আবহে মুক্তির পরই যে ভাবে সৎসঙ্গের আয়োজন করছেন রাম রহিম, তাতে তাঁকে ঘিরে বিতর্ক আরও বাড়ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy