শ্রীনগরে প্রচারে রাহুল গান্ধী। ছবি: পিটিআই।
সংসদে জম্মু-কাশ্মীরের আওয়াজ তিনিই তুলবেন বলে উপত্যকার মানুষের কাছে প্রতিশ্রুতি দিলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। এর সঙ্গেই জানিয়ে দিলেন, জম্মু-কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দিতে কংগ্রেসের লড়াই চলবে। কাশ্মীরে পৌঁছে রাহুল দাবি করেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন। তাঁর মুখ দেখলেই সে কথা বোঝা যাচ্ছে।
শ্রীনগরের উপকণ্ঠে জ়াইনাকোটে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার করতে গিয়ে রাহুল আজ বলেন, ‘‘যখনই প্রয়োজন হবে, আমাকে ডাকবেন, আমি পাশে থাকব। আমি আপনাদের কথা সংসদে তুলে ধরব। আমাদের বন্ধন অনেক গভীরে, এ নিয়ে কোনও কথাও বলতে চাই না আমি।’’ রাহুল আরও বলেন, ‘‘আমরা গ্যারান্টি দিচ্ছি, জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পাবে। ভোটের পর বিজেপি যদি এই সিদ্ধান্ত না নিতে পারে, কংগ্রেস ভবিষ্যতে এ নিয়ে পদক্ষেপ করবেই।’’ জম্মু-কাশ্মীরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করে এখানকার মানুষের সঙ্গে অবিচার করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন রাহুল। তাঁর দাবি, এর মাধ্যমে কাশ্মীরের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।
মোদী সরকার সাধারণ মানুষের কল্যাণের পরিবর্তে বাছাই করা কয়েকজন ব্যবসায়ীকে মদত করে চলেছে বলে আজ অভিযোগ করেন রাহুল। তাঁর কথায়, ‘‘২৫ জন ব্যবসায়ীর স্বার্থে ১৬ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ মকুব করা হয়েছে। অথচ গরিব কৃষক, শ্রমিক, ছাত্রছাত্রী ও মহিলাদের উন্নতিতে কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না।’’ মোদীর ‘মন কি বাত’-এর পরিবর্তে দেশের মানুষ ‘কাম কি বাত’-এর কথা জানতে চাইছে বলে দাবি করেন রাহুল। পাশাপাশি, সঙ্ঘ পরিবারকেও নিশানা করেছেন রাহুল। পুঞ্চের সভায় তিনি অভিযোগ করেন, বিজেপি ও আরএসএস গোটা দেশে ঘৃণা ছড়াচ্ছে। রাহুলের কথায়, ‘‘যেখানেই যাচ্ছেন, সেখানেই জাত, ধর্ম, রাজ্য, ভাষাকে সামনে রেখে হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করে চলেছে তারা।’’ এই ঘৃণাকে ভালবাসা দিয়েই জয় করতে হবে বলে বার্তা দেন রাহুল।
পুঞ্চের সভায় লোকসভার বিরোধী দলনেতার মন্তব্য, ‘‘মোদী নিজের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন। তাঁর মুখ দেখলেই সে কথা বোঝা যাচ্ছে। বিরোধী দলগুলি যা চাইছে, এখন সেটাই হচ্ছে। ওরা আইন করতে চেয়েছিল, কিন্তু আমরা বিরোধিতা করেছি। ফলে বিল পাশ হল না, ওরা নতুন আইন এনেছে। ওদের আগের জোর শেষ হয়ে গিয়েছে। আমরা মোদীর মানসিকতাকে ভেঙে দিয়েছি।’’ প্রসঙ্গত, আগামী বুধবার জম্মু-কাশ্মীরের দ্বিতীয় দফার ভোট। তৃতীয় দফার ভোট হবে ১ অক্টোবরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy