বছরের শেষে বিহারে ভোট। তাই সংখ্যালঘু ভোটকে পাশে থাকার বার্তা দিতে আজ ওয়াকফ বিল নিয়ে পটনায় হওয়া অল ইন্ডিয়া পার্সোনাল ল’ বোর্ডের ধর্নায় হাজির হলেন লালুপ্রসাদ যাদব থেকে প্রশান্ত কিশোর। ছিলেন রাজ্যের বাম নেতারাও। বিহারে জনসংখ্যার হিসেবে প্রায় ১৭ শতাংশ মুসলিম ভোট রয়েছে। যে ভোট রাজ্যের ২৪৩টি আসনের মধ্যে অন্তত ৭০-৭৫টি আসনে নির্ণায়ক ভূমিকা নিয়ে থাকে। বিশেষত উত্তর বিহারে। অতীতে সংখ্যালঘু ভোট মূলত আরজেডির পক্ষে থাকলেও, গত কয়েক বছরে তাতে ভাগ বসিয়েছে অন্য দল। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও সংখ্যালঘু সমাজকে পাশে পেতে ধারাবাহিক ভাবে তৎপর রয়েছেন। যদিও সংসদে আনা ওয়াকফ বিলে জেডিইউ সমর্থন করায় সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী নীতীশের ডাকা ইফতার বয়কট করে রাজ্যের অধিকাংশ মুসলিম সংগঠন।
এই আবহে ইদের পরেই ওয়াকফ বিল সংসদে পেশ করতে চলেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। যার বিরোধিতায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ধর্নার ডাক দিয়েছে মুসলিম ল’বোর্ড। আজ সংগঠনের ডাকা ধর্না ছিল পটনায়। সংখ্যালঘু সমাজের সমর্থন নিশ্চিত করতে আজ পুত্র তেজস্বীকে নিয়ে ধর্না মঞ্চে উপস্থিত হন লালুপ্রসাদ যাদব। পুত্র তেজস্বী বলেন, ‘‘আরজেডি দলের নেতা লালুপ্রসাদ যাদব অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও আজ আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছেন।’’
রাজনীতিকদের মতে, দল যে ওয়াকফ প্রসঙ্গে সংখ্যালঘু সমাজের পাশে রয়েছে সেই বার্তা দিতেই আজ অসুস্থ শরীরে ধর্না মঞ্চে উপস্থিত হন লালুপ্রসাদ। মূলত রাজ্যের সংখ্যালঘু ভোট যাতে পাশে থাকে তা নিশ্চিত করতেই ওই উদ্যোগ নেন আরজেডি নেতৃত্ব। লালুপ্রসাদ ছাড়াও ধর্না মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সদ্য দল গড়া জনস্বরাজ পার্টির নেতা প্রশান্ত কিশোর। রাজনীতিকদের মতে, মূলত নিজস্ব সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক গড়ে তুলতেই ওয়াকফ প্রশ্নে মুসলিমদের পাশে থাকার বার্তা দেন প্রশান্ত কিশোর। এ দিকে ল’বোর্ডের ওই বিক্ষোভ নিয়ে সরব হয়েছেন বিজেপি সাংসদ তথা ওয়াকফ সংক্রান্ত যৌথ সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান জগদম্বিকা পাল। তিনি বলেন, ‘‘যে সংশোধিত বিল এখনও সংসদে পেশ হয়নি, তা নিয়ে ওই বিক্ষোভ দেখানো অর্থহীন।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)