Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Priyanka Gandhi Vadra

হিমাচলের ভোটে প্রিয়ঙ্কার তাস ইন্দিরা

আগামী ১২ নভেম্বর হিমাচল প্রদেশের ভোটগ্রহণ। তার আগে আজ প্রথমবার হিমাচলের প্রচারে গিয়ে  মণ্ডীতে জনসভা করেন প্রিয়ঙ্কা। গান্ধী পরিবারের তরফে এই প্রথম কেউ হিমাচলে প্রচারে গেলেন।

প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা।

প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা। ছবি: পিটিআই

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২২ ০৭:৪৭
Share: Save:

হিমাচল প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে ইন্দিরা গান্ধীর আবেগের তাস খেললেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা। আজ ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুবার্ষিকীকে হিমাচলের মণ্ডীতে প্রচারে গিয়ে প্রিয়ঙ্কা মনে করিয়েছেন, ইন্দিরার ইচ্ছে অনুযায়ী, প্রয়াগের সঙ্গমের পাশাপাশি হিমাচলে পাহাড়েও তাঁর অস্থি ছড়ানো হয়েছিল। হিমাচল প্রদেশকে পৃথক রাজ্য ঘোষণা করেছিলেন তিনি। অবসরের পরে সিমলাতেই থাকার ইচ্ছে ছিল ইন্দিরার।

আগামী ১২ নভেম্বর হিমাচল প্রদেশের ভোটগ্রহণ। তার আগে আজ প্রথমবার হিমাচলের প্রচারে গিয়ে মণ্ডীতে জনসভা করেন প্রিয়ঙ্কা। গান্ধী পরিবারের তরফে এই প্রথম কেউ হিমাচলে প্রচারে গেলেন। ‘দেবভূমিতে প্রিয়ঙ্কা ঘোষণা করেছেন, হিমাচলে ক্ষমতায় এলে কংগ্রেস রাজ্যের মহিলাদের প্রতি মাসে ১,৫০০ টাকা করে অর্থ সাহায্য দেবে। প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকেই রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য পুরনো পেনশন ব্যবস্থা চালু হবে। ১ লক্ষ কর্মসংস্থান হবে। প্রতিটি গ্রামে মোবাইল স্বাস্থ্য ক্লিনিক ও রাজ্য জুড়ে ২৭২টি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল চালু করা হবে।

মণ্ডীতে জনসভার আগে ‘ছোট কাশী’ বলে পরিচিত মণ্ডীর ভূতনাথ মন্দিরে পুজো দেন প্রিয়ঙ্কা। এর পরে জনসভায় বলেন, ‘‘ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে হিমাচলের আধ্যাত্মিক যোগাযোগ ছিল। নিহত হওয়ার কিছু দিন আগে, হয়তো তখন বুঝতে পেরেছিলেন উনি শহিদ হতে চলেছেন, পরিবারের সদস্যদের চিঠি লিখে বলেছিলেন, তাঁর অস্থি শুধু সঙ্গমে নয়, যেন হিমালয় পর্বতেও ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আমার বাবা তাই করেছিলেন। আমি সিমলার কাছে মশোরবাতে বাড়ি তৈরি করেছি। কারণ, ইন্দিরা গান্ধীরও ইচ্ছে ছিল, অবসরের পরে মশোরবাতে বাড়ি করে থাকার। ১৯৭১-এর ২৫ জানুয়ারি ইন্দিরা গান্ধী হিমাচলে এসেছিলেন পৃথক রাজ্যের ঘোষণা করতে। সেই জনসভার মধ্যেই তুষারপাত হচ্ছিল। কিন্তু উনি নড়েননি। মানুষও নড়েননি। বিজেপির অনেকেই সে দিন সমালোচনা করেছিলেন। প্রশ্ন তুলেছিলেন, অর্থ কোথা থেকে আসবে? উনি হিমাচলের মানুষের সামর্থ্যের উপরে ভরসা রেখেছিলেন।’’

আজ ইন্দিরার মৃত্যুবার্ষিকীতে সনিয়া গান্ধী, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে-সহ কংগ্রেস নেতারা শক্তিস্থলে, কংগ্রেস দফতরে ইন্দিরাকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। রাহুল ভারত জোড়ো যাত্রার ফাঁকে টুইট করে বলেছেন, ‘‘ঠাকুমা, আপনার ভালবাসা ও সংস্কার বুকে নিয়ে চলছি। যে ভারতের জন্য আপনি সর্বস্ব ত্যাগ করেছিলেন, তা হারাতে দেব না।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy