Advertisement
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Crime

ভারতে প্রবেশ করেছিলেন শরণার্থী হয়ে, তার পরে মাদক চক্রে হাত পাকানো, দিল্লিতে ধৃত ২ আফগান

২০২০ সালে ভারতে এসেছিলেন উভয়েই। দিল্লির বিকাশপুরীতে এক ওষুধের দোকানে দু’জনের পরিচয়। এর পর মাদক চক্রে যোগ থাকার অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন দুই আফগান নাগরিক।

—প্রতীকী চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:৩১
Share: Save:

দিল্লিতে মাদক চক্র চালানোর অভিযোগে আফগানিস্তানের দুই নাগরিককে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের নাম হাশিমি মহম্মদ ওয়ারিস এবং আবদুল নায়িব। শনিবার দিল্লিত তিলকনগর এলাকা থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁদের থেকে ৪০০ গ্রাম হেরোইন এবং ১৬০ গ্রাম কোকেন উদ্ধার হয়েছে। রবিবার এই তথ্য জানিয়েছেন দিল্লির ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) অমিত গোয়েল। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, ধৃতেরা উভয়েই ২০২০ সালে ভারতে আসেন। তাঁদের মধ্যে নায়িব এ দেশে শরণার্থী হিসাবে নথিভুক্ত। ওয়ারিসও ২০২০ সাল থেকে শরণার্থী ‘স্টেটাস’ নিয়েই রয়েছেন এ দেশে।

পুলিশ জানিয়েছে, ওয়ারিসের পরিবারের সদস্যেরা থাকেন আফগানিস্তানেই। ২০২০ সালে এ দেশে আসার পর দিল্লির বিকাশপুরীতে একটি ওষুধের দোকানে সহায়ক হিসাবে কাজ করছিলেন তিনি। সেই সময়েই ওয়ারিস এক বন্ধুর থেকে মাদক ব্যবসার প্রসঙ্গে জানতে পারেন এবং এই কাজে যোগ দেন। রাজধানী দিল্লি ও আশপাশের এলাকায় মাদক সরবরাহের কাজ শুরু করেছিলেন। প্রতিটি সরবরাহের জন্য প্রায় ১০০ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ৮ হাজার টাকার কাছাকাছি) পেতেন তিনি। পিটিআইয়ে উল্লেখ, নায়িবও ২০২০ সালে পিতার সঙ্গে আফগানিস্তান থেকে এ দেশে এসেছিলেন।

দিল্লি পুলিশকে উদ্ধৃত করে পিটিআই জানিয়েছে, নায়িব এ দেশে শরণার্থী হিসাবে নথিভুক্ত। তাঁর পরিবারের বাকি সদস্যেরা আফগানিস্তানেই থাকেন। বিকাশপুরীর ওই ওষুধের দোকানেই ওয়ারিসের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল নায়িবের। পুলিশ সূত্রে খবর, বিলাসবহুল জীবনযাপনের টোপ দিয়ে ওয়ারিসই নায়িবকে এই মাদক কারবারে যুক্ত করেছিলেন। ডেপুটি পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, গোটা ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Delhi Police Delhi NCR
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE